পটুয়াখালী প্রতিনিধি: মহিপুরে বেপরোয়া এমদাদ বাহিনী, তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেই বাড়ছে অত্যাচারের মাত্রা। সাধারণ মানুষকে মারধর, গৃহ ভাংচুর থেকে অত্যাচারের তান্ডব থেকে রেহাই মিলছেনা ঘেরের মাছ, ক্ষেতের মরিচ গাছ পর্যন্ত। নেই প্রশাসনের চোখে পড়ার মত তৎপরতা।
ঘটনাগুলো ঘটিয়ে চলেছেন পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বায়েজিদ খান এর ছেলে এমদাদ, তিনি তার বাহিনী নিয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন তান্ডব, সৃষ্টি করছেন জনমনে আতংক।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এমদাদ বাহিনীর এমদাদ, রশিদের ছেলে দুলাল কবির গাজী, জামাল সহ ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন। এই সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় তান্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারন মানুষের কেউ। দিব্যি ফ্রী স্টাইলে চাঁদাবাজী করে বেড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত, তাদের দাবি কৃত চাঁদার টাকা না পেলে সাধারণ মানুষ উপর হামলা করে সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে এই এমদাদ বাহিনী।
অভিযোগ গত ৯ই জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে হামলা চালিয়ে উত্তর মনসা তলীজডিবিসি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান আঃ হাই এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর অফিস ভাংচুর করে সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং এ দিনই মোসাঃ সোনিয়া বেগমের বসত ঘড় ভাংচুর করে সকল মালামাল লুট করে প্রকাশ্য দিবালোকে। এমদাদ বাাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে এমন হামলা চালানোর ধৃষ্টতা দেখানোর পর ঘুরে বেড়াচ্ছে বীর দর্পে আর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন রয়েছে রহস্য জনক ভূমিকায়।
এমদাদ বাহিনীর হামলার শিকার আঃ হাই বলেন, আমার কোম্পানির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল এমদাদ বাহিনীর প্রধান এমদাদ সহ তাঁর সহযোগীরা, আমি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমার ছোট ভাই আবুল বাশার কে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি প্রধান করেন। সেদিন আমার ভাই বাদী হয়ে মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরর্বতীতে এমদাদ বাহিনী হামলা চালিয়ে আমার বসত বাড়ি ভাংচুর করে সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এমনকি আমার অফিসের সকল কাগজ পত্র নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আবারও তান্ডব চালিয়েছে এমদাদ বাহিনী তবে মানুষের উপর না, তান্ডব চালিয়েছে জলের মাছে বিষ প্রয়োগ ও চাষাবাদ জমি মরিচের ক্ষেতে। মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে এক লক্ষ পিস পাঙাস, তেলাপিয়াসহ মাছ বিভিন্ন ধরনের মাছের ক্ষতিসাধন ও মরিচের ক্ষেতে প্রায় একহাজার মরিচের চারা উৎপাটন করে বলে জানা গেছে।