মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ যেন একটা দুর্নীতির আখড়া।
সম্প্রতি সাধারণ মানুষকে সরকারের দেয়া বিভিন্ন ত্রাণ-সমগ্রি এখন প্রভাব শালিদের কব্জায়, হতাশা বিরাজ করছে সাধারণ অসহায় পরিবারের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার ১১ নং ডাবলুগন্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাত পাখা নিয়ে নির্বাচিত হয়েও কোন ভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছেন না ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম, এর মানে হচ্ছে গরিবের বউ সকলের ভাউজ ।
উপজেলার সকল ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া চাল বিতরণ করতে পারছেন না তিনি, কিছু সংখ্যক দূর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মুখের খাবার। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের একজন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যর প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে পারছেন না বর্তমান চেয়ারম্যান নাকি তার সাথে গোপন আঁতাত করে বেড়াচ্ছেন!
সম্প্রতি টিসিবির পন্য সামগ্রিই নিবন্ধন কৃতদের কে না দিয়ে ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের সকল চাল, তেল, ডাল, চিনিসহ সকল কিছু তার পালিত বাহিনীর দ্বারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয় কথা হয় ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পুরুষ মেম্বারদের সাথে। তারা বলেন, চেয়ারম্যান কার্ড পাঠিয়েছেন চৌকিদারদের কাছে, আমাদের কার্ড আনতে গিয়েছিলাম তা আমাদেরকে না দিয়ে মহিলা মেম্বার শিরিনা আক্তার ও তার দলবল নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান টিমের সাথে কথা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান এর মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কার্ড বিতরণ করব? চৌকিদার দিয়ে পাঠিয়েছি কিন্তু কে নিয়ে গেছে জানিনা, তবে মহিলা মেম্বার শিরিনা আক্তার খুব দাপট দেখাচ্ছে আমি কি করব। সে নতুন আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন তার বাহিনীর তান্ডব চালিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে পরিষদে এসে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জেলেদের চাল বিতরণ করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি একই কথা বলেন।
এ বিষয় কথা হয় সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন সিকদার এর সাথে তিনি বলেন, জেলেদের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে তাঁহারা নিবন্ধন কৃত জেলেদের বাদ দিয়ে ভুয়া জেলেদের কার্ড তৈরি করে তারপর বিতর্কিত করতে ছিল বিষয়টি জানাজানি হওয়ার কারণে বর্তমান চাল বিতরণ বন্ধ হয়ে আছে।