বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলার গোকুল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত এম এ জলিলের পুত্র রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন সদরের রামশহর গ্রামের আঃ খালেকের পুত্র শাহনেওয়াজ শাওন আমার বাড়ীতে এসে বলেন আপনি বিদেশে ছিলেন, অনেক লোকজন বিদেশে পাঠাইয়াছেন, আমাকে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দেওয়াই সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হযরানী করছে। তার শ্বশুর সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের ভান্ডারপাইকা গ্রামের সাইফুল ইসলাম সহ ৮/১০ জনকে সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকুরীর জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিভান্ন পত্র-পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে যে সংবাদ গুলো প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, উক্ত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যেসব বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তাহা একটি বাক্য সত্য নহে। প্রকৃত ঘটনা হল ভান্ডার পাইকা গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর জামাই সদরের রামশহর গ্রামের আঃ খালেকের পুত্র শাহনেওয়াজ শাওন আমার বাড়ীতে এসে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। উক্ত চাঁদার টাকা দিতে আমি অস্বীকার করায় সে আমার উপর প্রচন্ড ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন চাঁদার টাকা না দিলে তুমি যতগুলো ব্যক্তিকে বিদেশ পাঠিয়েছে প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারের লোকজনদেরকে সাথে নিয়ে তোমাকে এমনভাবে শায়েস্তা করব যে সারা জীবন তোমাকে জেলের ঘানি টানতে হবে। । এই ঘটনার পর সে ০৬/০৪/২২ইং তারিখে সদর থানায় ২২/৩৩৩ নং একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ দ্বারা কৌশলে আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং শাওন বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, উক্ত মিথ্যা মামলায় আমি তিন মাসের অধিক সময় জেলহাজতে থাকিয়া জামিনে মুক্তি হয়।আমি হাজতে থাকা অবস্থায় যাদেরকে বিদেশ পাঠাইছি তাদের পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাতমাথায় ষড়যন্ত্রমূলক অন্যায় ও বেআইনিভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। প্রকৃত ঘটনা হল সাইফুল ইসলামসহ যাদেরকে বিদেশ পাঠাইছি সবাই পূর্বের চুক্তিপত্র মোতাবেক সকলে কাজে নিয়োজিত আছে। তাদের মধ্যে দুএকজন জন কোম্পানির চুক্তি ভঙ্গ করে বেশি বেতনের আশায় অন্য কোম্পানীতে যাওয়াই তারা ওই দেশের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমি কোন ভাবে দায়ী নই। আমার পরিবার উদ্দেশ্যে অযথা আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে শাওন তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমি উক্ত মিথ্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট উক্ত ঘটনার যথাযথভাবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন রফিকুলের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, বাবু মিযা, পিন্টু, রশিদা, আঞ্জুয়ারা সহ রফিকুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।