মিয়ানমারের একটি অনিবন্ধিত জেড পাথরের খনি থেকে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৪ জন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম চালান। দেশটিতে মৌসুমি বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশে গতকাল রোববার ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমারে জেড পাথরের খনি খনন খুবই লাভজনক ব্যবসা। তবে এই শিল্পটি অনিবন্ধিত এবং সঠিক কাঠামো এখনো দাঁড়ায়নি। ফলে প্রায়ই এমন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালের ভূমিধসে এমন ১৭০ জন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল
একজন উদ্ধারকর্মী জানান, আমরা মোট ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা আগমীকাল বুধবার আবার উদ্ধার কার্যক্রম চালাবো।
বিবিসি জানায়, উদ্ধারকর্মীরা কাদাখুড়ের মরদহ বের করার চেষ্টা করছে। কয়েকজন পানির উপরে অবস্থান করছেন। ভূমিধসের কারণে ৫০০-৬০০ ফিট পর্যন্ত গভীরে চলে যাচ্ছে মরদেহগুলো। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে এই কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির মধ্যে খননকাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত লাভের আশায় স্থানীয়রা গোপনে এই খনন চালিয়ে যায়। তারা আশা করছিল, এই সময়ে হয়তো মূল্যবান কিছুর খোঁজ তারা পেয়ে যেতে পারে।
জেড পাথরের এই শিল্প স্বল্প দামে শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে এই পাথর উচ্চদামে প্রতিবেশী দেশ চীনে বিক্রি করা হয়। জেড ছাড়াও মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে স্বর্ণ ও অ্যাম্বারের মতো মূলবান পাথর পাওয়া যায়। এগুলো উত্তোলন ও বিক্রি করে গৃহযুদ্ধের দুই পক্ষই সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নিজেদের যুদ্ধের খরচের ব্যবস্থা করে।