মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আমড়াগাছিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী না থাকলেও শ্রেণিকক্ষে বাঁধা আছে শিক্ষক- কর্মচারীর গরু ও ছাগল। মাদ্রাসা নয় এ যেন শিক্ষক - কর্মচারীর গোয়ালঘর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে সারা দেশের ন্যায় মির্জাগঞ্জেও বন্ধ রাখা হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । বন্ধ থাকার সুযোগে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষ দখল করে গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাইটগার্ড (নৈশপ্রহরী) শাহীন বিশ্বাসের গরু
বাঁধা, অন্য ২ কক্ষে এলাকার বারেক বিশ্বাস ও মাদ্রাসার সহকারী ক্বারি মোঃ আফজাল বিশ্বাসের ছাগল বেঞ্চের উপরে ও নিচে বসে ছিঁড়ে দেয়া লতা পাতা খাচ্ছে।
ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ও একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই তারা গরু ছাগল বাঁধে। আর এখন তো বন্ধ কোন শিক্ষার্থাী নাই। লকডাউনের শুরুতেই শ্রেণিকক্ষে গরু ছাগল বেঁধে পালন করছে শিক্ষক - কর্মচারীরা।
নাইটগার্ড (নৈশপ্রহরী) মোঃ শাহীন বিশ্বাস বলেন, আমি আজকেই গরু বানছি (বাঁধছি)। আর কতৃপক্ষ তো কিছু বলেনা। ছাগলগুলো আফজাল হুজুর ও বারেক বিশ্বাসের । সহকারী ক্বারি মোঃ আফজাল হোসেনের ফোনে কথা বললে সে বলে আমি অসুস্থ্য। এবিষয়ে কিছু জানিনা।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এটি এম
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গরু ছাগল রাখার জন্য না। এরকম করে
থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এখনই সুপারকে বলবো।
মাদ্রাসরা ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ ইউসুফ মাওঃ বলেন, আমি অনেক বার তাদের নিষেধ
করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা শুনে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সরেজমিনে প্রতক্ষ্য করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুদ্দীন ওয়ালীদ বলেন, ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।