মোঃ মনির হোসেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘চুর’ বলে আখ্যায়িত করাসহ অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা ত্রিশাল উপজেলার সাবেক পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনকে পুণরায় ত্রিশালে বদলীর আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ত্রিশালের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
সোমবার সকালে শাহাদাতের ত্রিশালে বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের দাবী জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা অসম্মান করে তাকে ত্রিশালে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।
জানা যায়, ২০১৯ সালে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক আবুলের স্বাক্ষর জাল করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অশালীন আচরন ও স্বাক্ষর জালকারী ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করা হলে ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসককে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রনালয়। তারপরও তিনি বদলি ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর।
দুই বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে আবারও শাহাদাত হোসেন ত্রিশালে আসার জন্য তদবীর করে আদেশ করান। ওই সময়ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্দোলনের মুখে ওই আদেশ বাতিল করা হয়েছিল।
ফের দুই বছর আট মাস পর আবারো ওই কর্মকর্তাকে ত্রিশালে বদলির আদেশ করেছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়। গত ১৭ আগস্ট এ আদেশ জারী করে মন্ত্রনালয়।
শাহাদাত হোসেনকে ত্রিশালে বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে তাঁরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন, যারা দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের জন্য লড়েছে তাদেরকে যে ‘চুর’ বলে আখ্যা দেয় তাকে ত্রিশালে স্থান দেওয়া হবে না।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হরমুজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ প্রমূখ।