মুজিববর্ষে উপলক্ষে ভুমি ও গৃহহীনদের মধ্যে
মধুখালীতে ১৪৮ জন পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার
সুজল খাঁন, স্টাপ রিপোর্টারঃ
আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগান সংবলিত এ প্রকল্পে সারাদেশের মতো মধুখালী উপজেলার প্রতিটি ভূমিহীন-ঘরহীন পরিবারের জন্যও থাকছে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য বানানো হচ্ছে দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর। পরিবার পিছু একটি ঘরের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ২ শতাংশ জমি।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিনে সে লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরের মধুখালীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমি ও গৃহহীনদের মধ্যে ১৪৮ জন পেল প্রধান মন্ত্রীর ভূমি ও ঘর উপহার।
২৩ জানুয়ারী শনিবার সকাল ১০ টায় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন পরবর্তীতে মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে জমির দলিল ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জমির দলিল হস্তান্তর করেন ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আটিসি ও শিক্ষা) মোঃ সাইফুল কবির।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান(ভারপ্রপ্ত) মোহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান মুরাদ,উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মোঃমোস্তফা মনোয়ার,সহকারী কমিশনার(ভুমি) তানিয়া তাবাসসুম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক বকু,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মোরশেদা আক্তার মিনা,সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কোমন্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল ওহাব,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ খুরশিদ আলম, জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা
আহসানুজ্জামান আজাউল, ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এবং উপজেলা প্রশাসনের দপ্তর প্রধানগন।
উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ১৪৮টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মান ব্যয় করা হয়েছে ১লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
সরকারের এরকম কঠোর নির্দেশনা থাকায় মধুখালীতে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা দিন রাত এক করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ যেন আরেক মুক্তিযুদ্ধ। মুজিববর্ষে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে তাদেরকে পুনর্বাসন করার যুদ্ধ।