মোংলা প্রতিনিধি:
জাতীয় শ্রমিকলীগ বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখা'র আয়োজনে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (১৫ আগষ্ট) বিকেল ৫ টায় ইউনিয়নের দিগরাজ বাজার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সমাবেশে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. জিহাদ সরদার টনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবু জুয়েল মহলদার'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, জাতীয় শ্রমিমলীগ মোংলা শাখা'র আহ্বয়ক এ এইচ মিলন শিকারী, মোংলা পৌর ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুর রহমান খান, দিগরাজ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তুষার কুমার গাইন, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার দেওয়ান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব শেখ মো. ইদ্রিস আলী, প্রমূখ। এ সময় আওয়ামীলীগের বিভিন্য ইউনিয়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত শোক সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের নেতা। এ দেশের বঞ্চিত ও শোষিত বাঙালির মুক্তির জন্যই বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল। কাজেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন নাম। বঙ্গবন্ধু কখনো নিজের কথা চিন্তা করেননি। বাঙালির অধিকারের কথা ভেবেই জীবনের ১৭টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। শোষিত মানুষের মুক্তি আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘাতকদের কাছে মাথানত করেননি। তাই আজ দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।