মোংলা প্রতিনিধিঃ
মিঠাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে নিতাখালীর মোড়ে যুবলীগের অফিসে (১৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা (৬ টায়) বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভা ও কেক কাটা অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, মিঠাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ'র সভাপতি প্রীতিশ চন্দ্র হালদার, সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার, এ্যাডঃ ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সদস্য ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান, মোঃ আরিফ ফকির, শেখ মুজিবুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন সরদার সহ স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ সময় বক্তারা বলেন,
দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য একের পর এক যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ এবং দেশকে গড়ার কাজ করছিলেন। এক স্বাক্ষরে ৩৭ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক স্বাক্ষরে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছেন। যেমন বাবা, তেমন মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন পূরণ করছেন তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই আমরা আরো উপরে উঠতে পারতাম। এখন আমরা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক উপরে। দেশের সর্বক্ষেত্রে আমাদের অর্জন গর্ব করার মতো।
জাতির পিতার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব এবং সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেছিল। যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিকাশ ঘটেছে বাঙালি জাতিসত্তার। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক। তিনি যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজে আত্মনিয়োগ করেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কেক কেটে পালিত হয় বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী।