বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
মহাষ্টমীর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পূজা ছাড়াই মোংলায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বুধবার সকাল থেকে পূজারীরা আসতে শুরু করেন মন্দির-মন্ডপে। বেলা ১১টা বাজতেই পূজাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতিতে। তখনই শুরু হয় মহাষ্টমীর নানা আনুষ্ঠানিকতা। পূজা, অর্চণার পাশাপাশি ঢাক-ডোল, কাঁসর, উলু ও শঙ্খের ধ্বনিতে সরব হয়ে উঠে মন্দিরগুলো। মোংলায় এবার ৩৭টি মন্দির-মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। তবে এবার সবার নজর কেড়েছে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের সোনাপট্টির মন্ডপটি। সেখানে লোকসমাগম সবচেয়ে বেশি। এতো মানুষের ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের। সোনাপট্টি পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন চন্দ বলেন, তিন বছর ধরে আমরা জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা করে আসছি। তাই আমাদের এখানে পূজারী ও দর্শনার্থীদের ভিড় খুব বেশি। সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ, আনসার, স্বেচ্ছাসেবক ও কমিটির লোকজন দিন রাত পরিশ্রম করছি। আশা করছি সকলের সহযোগীতায় এ পুজা শেষ করতে পারবো। এদিকে মহাষ্টমীর দিন বুধবার সকাল থেকে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় কুশল বিনিময় করেছেন স্থানীয় সাংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা।