বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি,মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদার।পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন,মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম,যুবলীগের সাবেক সভাপতি,মোঃ নাসির হোসেন,পৌর যুবলীগ এর দপ্তর সম্পাদক ইমরান খান সোহাগ,পৌর ছাএলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সানি,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নয়ন বিশ্বাস,ফজলে রাব্বিসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাঝি মাল্লা জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির।
মোংলা পৌর সভাপতি মিজানুর রহমান তালুকদার তার বক্তৃতায় বলেন,২৭ জুলাই গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ২৮ বছরে পদার্পণ করবে আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে ১৯৯৪ সালে ২৭ জুলাই ” বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ” নামে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আশি এবং নব্বই দশকের এক ঝাঁক সাবেক ছাত্র নেতাদের নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নির্দেশে শ্রদ্ধেয় নেতা জনাব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ পূর্ণগঠনের। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই বর্ণাঢ্য সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সারা দেশের প্রতিটি জেলা,মহানগর,উপজেলা,থানা, পৌরসভা,ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ছড়িয়ে দিয়ে সংগঠনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দান করেন। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং ২৯ জুলাই আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় সকল নেতাকর্মীকে কান্নায় ভাসিয়ে এক সঙ্গে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংগঠনের সহ সভাপতি অ্যাড. মোল্লা মোঃ আবু কাউছারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন।এরপর থেকে অদ্যাবধি জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর পরামর্শ ও নির্দেশনায় পরিচালিত হয়ে আসছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।ছিয়ানব্বই এর অসহযোগ আন্দোলন,২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্যাতন পরবর্তী বিএনপি-জামাতের তান্ডব এর প্রতিবাদে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল আন্দোলন-সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছিল অগ্রভাগে।কারাগারে নির্মম নির্যাতনের শিকার জননেতা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগের প্রতিটি লড়াই,সংগ্রাম,আন্দোলন ও প্রতিটি সভা, সমাবেশ সর্বোপরি মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা’র নিরাপত্তার প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলেন সর্বত্র।বিশ মানবতার জননী,মাননীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেট হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কুদ্দুছ পাটোয়ারী নিহত হয়।আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম,সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের ভয়াবহ আঘাতে গুরুতর আহত হয়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন অবৈধ অগণতান্ত্রিক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাননীয় নেত্রীকে গ্রেফতার করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।সে দিনই ভোর বেলায় নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে নেত্রীর মুক্তি চেয়ে মিছিল করে মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ থাকার পরও নেত্রীর মুক্তির জন্য পোস্টার ছাপিয়ে লিফলেট বিতরণ ও গণ-স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আওয়ামী লীগের সেই সময়ের বর্ধিত সভায় ‘ No Dialogue, No Election without Sheikh Hasina ‘ স্লোগানে ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ প্রকম্পিত করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে সারা দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।প্রতিষ্ঠা দিবসের এই মাহেদ্রক্ষণে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিবাদন।সেই সাথে মোংলা পোর্ট পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি”র পক্ষ থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
Leave a Reply