মোংলা প্রতিনিধি
দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচির প্রতিবাদে মোংলায় ভোর থেকেই মাঠে ছিলো আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মত, মোংলা উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সকাল থেকেই মোংলা শহরে মোটরসাইকেল বহর, এবং প্রতিবাদ মিছিল করে, মোংলা শহরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবস্থান নেয়, ভোর থেকে রাজপথে উপস্থিত ছিলেন মোংলা পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইব্রাহীম হোসেন, যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুবলীগ নেতা মো. জলিল শিকদার, পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, পৌর সেস্বাসেবকলীগের সভাপতি মিজান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিকদার ইয়াছিন আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক সজিব খান, পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি কাজী রানা সাধারণ সম্পাদক শেখ বাপ্পি,কৃষক লীগের সভাপতি শাহাজাহান সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান বিশ্বাস সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
এক প্রস্নের জবাবে নেতারা বলেন, বিএনপি যদি এ ধরনের অপচেষ্টা চালায়, জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তা প্রতিরোধ করবো। আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ তারা বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করে, সেজন্য নানা ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা, বহুকিছু করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ফেলেছে। এ নিয়ে জনগণ যখন তাদের ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তাদের মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে এবং সেকারণেই তারা নানা ধরনের আবোল-তাবোল কথা বলছেন। বিএনপি এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে নেতারা বলেন, ‘আমাদের বিদায় ঘণ্টা তো তারা ২০০৯ সাল থেকেই বাজাচ্ছে। যতই ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ততই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং নিজেদের বিদায় ঘণ্টাই বাজিয়ে দিয়েছে। আর ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে, স্বপ্ন দেখতে কোনো দোষ আমি দেখি না। কিন্তু দেশে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়, তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ সময় সড়কে কঠোর অবস্থানে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।