বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
জীববৈচিত্র’র আধার সুন্দরবনকে ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো রামসার সাইট অর্থ্যাৎ জলাভূমি হিসেবে ঘোষণা করেছে। দখল এবং দূষণে জলাভূমি গুলি আজ বিপর্যস্ত। তাই সুন্দরবনসহ দেশের সকল জলাভূমি রক্ষায় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা এবং ভূমি দস্যুদের তান্ডবে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জলাভূমির আয়তন কমে যাচ্ছে। এধরণের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাড়াতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে মোংলার কাপালিরমেট এলাকায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র আয়োজনে বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন উপলক্ষে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। বুধবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা অধ্যাপক অসিত সরকার, বাপা নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, নাজমুল হক, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার রাকেস সানা, মারুফ বিল্লাহ, মেহেদী হাসান বাবু প্রমূখ। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র, কৃষি, মৎস, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি। তাই যাদের কারনে জলাভূমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা জলাভূমির ক্রমাবনতির বিরুদ্দে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জলাভূমিতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সঠিক ভাবে সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ’র কাছে দাবী জানান।