বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ঢালীরখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় বিজয়ের ৫০ বছর ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুক্তিযোদ্ধা দের সংবর্ধণা প্রদান করা হয়েছে। সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে, আয়োজিত সুন্দরবন ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি মো, নজরুল ইসলাম ইজারাদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার, জেলা আ'আলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিবুল হক (নজু), জেলা অ'লীগের দপ্তর সস্পাদক বাবু অম্বরিশ রায়, বাগেরহাট পৌর আ'লীগের স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক তানভির হোসেন (মনু), উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তরিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জলিল শিকদার, মোংলা পৌর আ'লীগের সংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন (মিলন), সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির উদ্দিন, সংবাদিক সুমেল সারাফত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার, উপজেলা যুব মহিলা নেত্রী সুমি লীলা মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার, উপজেলা সেস্বাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ ইমরান বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিকদার ইয়াছিন আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক সজিব খাঁন প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা, পৌর, ইউনিয়নের সদস্য সহ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বৃন্দ এবং দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মিরা। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা দের ফুলেল শুভেচ্ছা যানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ৫০ বছরে যা কিছু অর্জন, জাতির পিতা এবং তার দল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই তা হয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেছেন, দেশের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হয়েছিল ১৯৪৭ সালে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের পা আটকে ছিল পাকিস্তানি বেড়িতে। সেই শেকল ভাঙার মন্ত্র শেখানো শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাংলার মানুষের ভালোবাসার বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদারের আক্রমণের পর বঙ্গবন্ধুই দেন স্বাধীনতার ডাক, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তা সফল পরিণতি পায় নয় মাস পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে জয়ের দিন। বিশ্বের হাতেগোনা যে কটি দেশের স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি বিজয় দিবসের মতো উৎসবের উপলক্ষ রয়েছে, তার একটি বাংলাদেশ।
পরে দেশের খ্যতিমান শিল্পি দের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।