মোংলা প্রতিনিধি:
মোংলা পৌর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার (২৪ আগষ্ট) বিকেল ৫ টায় ৪ নং ওয়ার্ডের পারহাউজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে পৌর ৪ নং ওয়ার্ড আ'লীগের সভাপতি মো. কামরুল আহ্ছান এবং সাধারণ সম্পাদক বাবু উত্তম কুমার সরকার'র সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা রাখেন বাগেরাহাট জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ লেয়াকত হোসেন লিটন এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা রাখেন মোংলা পৌর পৌরসভার মেয়র শেখ আঃ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা রাখেন উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামরুজ্জামান জসিম, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান বাবু উদয় শংকর বিশ্বাস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইমরান শেখ, পৌর আ'লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কাজী গোলাম হোসেন বাবলু,সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মিলন,উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাহজান সিদ্দিকী, পৌর মহিলা যুবলীগ এর সভাপতি সুমীলীলা, পৌর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইস্তুুতি সরকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজান তালুকদার, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আল-মামুন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন (রানা), প্রমূখ। এ সময় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, আপনারা এখানে যাঁরা আছেন, পাকিস্তান কেমন ছিল আপনারা জানেন। না জানলে যাঁরা জানেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করবেন। এ দেশে শেখ হাসিনাকে ২৩ বার হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে একবারও না। বঙ্গবন্ধুকে যদি সত্যি ভালোবাসেন, আওয়ামী লীগ যা–ই বলুক, আওয়ামী লীগ যা–ই করুক, আপনাকে বলতে হবে, “আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা মানি।” আওয়ামী লীগ যে কথাই বলুক, “আমরা বৈষম্যহীন সমাজ না হলেও বৈষম্য কমার সমাজ চাই, যেটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।” বঙ্গবন্ধুকে যদি আপনি ধারণ করেন, আপনি বলবেন, “আমি গণতন্ত্র চাই, আওয়ামী লীগ না চাইলেও। আদর্শ যাঁরা মানবেন, তাঁরাই আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরাই বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেন, তাঁরাই শেখ হাসিনাকে ধারণ করেন। নির্বাচন যত সামনে আসবে, ষড়যন্ত্র বাড়বে, হত্যার হুমকি হবে, কিন্তু আপনারা যদি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা থাকে, আমরা মনে করি, আপনারা যাঁর যাঁর জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে থাকবেন। কেউ আমাদের হঠাতে পারবে না, জয় আমাদের হবেই। বঙ্গবন্ধু কখনো নিজের কথা চিন্তা করেননি। বাঙালির অধিকারের কথা ভেবেই জীবনের ১৭টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। শোষিত মানুষের মুক্তি আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘাতকদের কাছে মাথানত করেননি। তাই আজ দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য সহ ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়। পরে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়।