মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে চলন্ত জাহাজে আগুন
নিহত ১জন
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে তেল ভর্তি ”এমটি সিলিংক উৎসব” নামক চলন্ত জাহাজের ইঞ্জিন রুমে আগুন লেগে ১জন নিহত এবং ৫জন আহত। ২৩ মে রবিবার দুপুরে ইঞ্জিন ওভার হিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত। নিহত মোঃ আলীর (৫৫) বাড়ী নারায়নগঞ্জের পাগলায়। তিনি জাহাজের গ্রিজার পদে কর্মরত ছিলেন। আহত অপর গ্রিজার ইয়াসিনের অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া আগুন নেভাতে যেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪জন আহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জাহাজ বন্দরের লাউডোব বয়ায় নিরাপদে আছে। ”এমটি সিলিংক উৎসব” জাহাজের কোয়ার্টার মাষ্টার মোঃ সিরাজ বলেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সাড়ে ১৯ লাখ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে খুলনার দৌলতপুরে যাওয়ার পথিমধ্যে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মোংলা বন্দরের জেটির কাছাকাছি পশুর নদীতে চলন্ত জাহাজে আগুন লাগে। প্রথমে ধোঁয়া উড়তে দেখে বন্দরের সাথে যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে বন্দর, ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্ট গার্ড যৌথ ভাবে কাজ কওে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। এঘটনায় জাহাজের গ্রিজার মোঃ আলী (৫৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অপর গ্রিজার মোঃ ইয়াসিনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোঃ ইয়াসিনের বাড়ী ফেনীর ছাগলনায়ায়। তবে তেলে আগুন না লাগায় বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে জীবন ও পরিবেশ রক্ষা পেয়েছে বলে জানান মাষ্টার সিরাজ। জাহাজের মালিক হচ্ছে ঢাকার সিলিংক শিপিং কোম্পানীর হাসানুর রহমান বারী বলে জানা যায়। মোংলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র টিম লিডার লিটন হাওলাদার জানান জাহাজের ইঞ্জিন ওভার হিট হয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। দুপুর দেড়টায় আগুন লাগে এবং বিকেল পৌনে ৪টায় আগুন সম্পূর্ণ রুপে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪জন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের অসুস্থ সদস্যরা হলেন রাতুল মোল্লা, আব্দুস সোবহান, রাকিবুল ইসলাম ও আব্দুল আলীম। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র হারবার মাষ্টার ফকরউদ্দিন বলেন বন্দর জেটির ৩শ থেকে ৪শ মিটার মধ্যে জাহাজে আগুন লাগে। আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বন্দরের অগ্নি নির্বাপন জাহাজ ”সুন্দরবন” ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বন্দরের জাহাজ ”সুন্দরবন” এবং ”মালঞ্চ” এর পক্ষ থেকে অগ্নিদ্বগ্ধ জাহাজকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। অগ্নিদগ্ধ জাহাজকে বন্দরের লাউডোব বয়ায় নিরাপদে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে অগ্নিদগ্ধ জাহাজের গ্রিজার মোঃ আলী এবং ইয়াসিনকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মোঃ আলী মারা যান। আহত ইয়াসিনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাহাজে অগ্নিকান্ড এবং নিহতের ঘটনায় মোংলা থানায় কোন ধরণের জিডি বা মামলা হয়নি বলে জানান মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী।