মোংলা বন্দরে দুই নম্বর হুঁশিয়ারী সংকেত, কার্যক্রম স্বাভাবিক
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদী উত্তাল থাকলেও স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে মোংলা, সুন্দরবনসহ আশপাশ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে। তবে এ অঞ্চলে প্রচন্ড গরম ও তাপদাহ বিরাজ করছে।
এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়ার দরুণ মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ চলছে যথারীতিভাবে। মোংলা বন্দরে কয়লা ও ক্লিংকারবাহীসহ মোট ১২টি দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে এবং স্বাভাবিক পণ্য ওঠা-নামার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে জরুরী কন্ট্রোল রুম খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃৃপক্ষ। সম্ভাব্য ঝড় মোকাবেলায় জরুরী সভাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এছাড়া অবস্থা বুঝে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি ও সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খোলা হবে পৃথক কন্ট্রোল রুম। উপজেলার ১৩২০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এসব সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে ঝাড়– দিয়ে, ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টারে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অন্যদিকে নদীতে দুপুরের জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি। তারপরও বন্দর কেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। মোংলা ও পশুর নদীর পূর্ব পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহি কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিষ্ট বোড নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন খালেও বিভিন্ন নৌযান নিরাপদে নোঙ্গর করে রয়েছে।