শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পাঠানপাড়ায় কিশোরগ্যাং ও মাদককারবারির হামলার শিকার দৈনিক সরেজমিন বার্তার (স্টাফ রিপোর্টার) নওশের আলম সুমন। এঘটনায় সুমন সহ আরও ৪ জন আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে।
সদর উপজেলার হরিদেবপুর এবং খলেয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা পাঠান পাড়ায় সোমবার বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার বিকেল আনুমানিক ৫ টায় ওই এলাকার (স্থানীয় জৈনক ব্যাক্তি মোহাব্বত/শাহিন/মোস্তাকিমদের) জায়গায় প্রতিদিনেরন্যায় স্থানীয় এবং বহিরাগত লোকজন এসে উশৃংখলতা শুরু করে। তাদেরকে উশৃংখলতা বন্ধ করে চলে যেতে বললে (মেহের আলীর হুকুমে, আবু মিয়া, কন্ঠ, সাগর, শাজাহান, সুরুজ, লাল মিয়া, কালা মিয়া, আছমা, আরজিনা, আনোয়ারা, সপ্না সহ বহিরাগত আরও নাম না জানা ২৫/৩০ জন এদের তিন ভাইয়ের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক যোগে দা,হাসুয়া'চোরা,কুড়াল, লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্র নিয়ে হামলা চালায়।
এতে শাহিনের মাথা পেটে যায় এবং তার আরও দুই ভাই মোহাব্বত ও মোস্তাকিম গুরুতর আহত হয়। শাহিনকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে গায়ের কাপড়-চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।
ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন জানান, সাংবাদিক সুমনের বাড়ি একই এলাকায়, ঘটনার প্রথম অবস্থায় সাংবাদিক সুমন উপস্থিত ছিলো না। মাঝামাঝি এসে দুপক্ষের মারামারি দেখে পুলিশকে ইনফর্ম করে এবং সবাইকে শান্ত থাকার কথা বলে। কিন্তু সবাই মিলে সাংবাদিক সুমনকে মারধর করা শুরু করে এবং হাতে থাকা ফোন কেড়ে নেয়, পকেটে হাত দিয়ে আইডি কার্ড ও ৩০ হাজার টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে যায়। এতে সাংবাদিক সুমন গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করায়।
উল্লেখ্য, পাঠান পাড়া এলাকায় আতিকুলের দিঘি নামক জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা এবং সেবন করে আসছে স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু নেশাখোর। এরই ধারাবাহিকতায় এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত মাদকসেবন করে এলাকায় মানুষের সাথে ঝগড়া-বিবাদ সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে তারা।