1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
রংপুর প্রেসক্লাব এখন ১০ শিক্ষকের দখলে - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
ad

রংপুর প্রেসক্লাব এখন ১০ শিক্ষকের দখলে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
  • ১২৬ Time View

রংপুর প্রেসক্লাব এখন ১০ শিক্ষকের দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুর প্রেসক্লাব এখন সাংবাদিকতার আড়ালে ১০ শিক্ষকদের দখলে। এদের অনেকই স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতার পেশায় জড়িত। এমন বর্নচোর শিক্ষকরা সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চাকরী বিধি উপেক্ষা করে জেলা-উপজেলা শিক্ষা কমকর্তা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং পরিচালনা পরিষদকে ম্যানেজ করে তারা সাংবাদিকতা পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সাংবাদিক নামধারী শিক্ষক হওয়ায় প্রশাসনও এ বিষয়ে নীরব থাকছেন। ফলে এ সব শিক্ষক নামধারী সাংবাদিকদের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বিরত থাকছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর লেখাপড়ার মান ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেকে আবার সরকারি চাকরির আড়ালে ছদ্মনামেও সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন।অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা শহরের রংপুর প্রেসক্লাবে এখন শিক্ষক নামের আড়ালে ৯ সাংবাদিকের দখলে। রংপুর নগরীতে যারা শিক্ষকতার পাশাপাশি গোপনে সাংবাদিক হিসেবে চাকরি করছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন তারা হলেন, বর্তমান রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকার তিনি রফিক সরকার ছদ্মনামে মাছ রাঙ্গা টেলিভিশনে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে ফুলটাইম কাজ করছেন, এছাড়াও তিনি দৈনিক বায়ান্নর আলো’র নির্বাহী সম্পাদক। আবার মাহিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, তাকে একবার ঐ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তাকে শিক্ষকতার পেশার আড়ালে সাংবাদিকতার জন্য শো-কজ করেছিলেন। একই সাথে মাছরাঙ্গা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে রফিক সরকারকে বরখাস্তের জন্য ডিও দেন। এ সময় পল্লী নিবাসে এরশাদের পা ধরে মাফ চেয়ে রক্ষা পান। পরে রফিক সরকার ওই টেলিভিশন চ্যানেলে মুচলেখা দেন যে তিনি সাংবাদিকতাই করছেন কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা মিথ্যাচার ছিল। তিনি এখনো ওই কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তা কলেজের বেতন এমপিও লিস্ট দেখলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রফিক সরকার বলেন, আমি নিয়ম মেনেই সাংবাদিকতার পাশাপাশি কলেজে শিক্ষকতা করছি এতে কোন অন্যায় হয়নি। আর আমি কখনো কারো পা ধরে ক্ষমা চাইনি। এগুলো আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।বর্তমান রংপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রংপুর শহরের লালকুঠি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা, তিনি সেই সময়ে প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির সভাপতি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুব রহমান হাবুকে ম্যানেজ করে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এর পরে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষক প্যাটার্ন বহির্ভূত একাধিক অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়েছেন। তিনি ভাড়াটিয়া রেখে সাংবাদিকতা করেন। আব্দুর রউফ সরকারের বিরুদ্ধে লালকুঠি স্কুল এবং কলেজের একাধিক শিক্ষক,কর্মচারী, গার্ড ও গভনিংবডির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি কলেজের কয়েক লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে আত্মসাত করেছেন যা কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর সামনেই করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কোন অনুমোদন না নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করছেন। এর জন্য ২০ লক্ষাধিক টাকাও তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আব্দুর রউফ সরকার কলেজের সামনে মার্কেটে নিজে ৩টি দোকান বিনা টাকায় নিয়ে একটি নিজের নামে, একটি স্ত্রীর আর একটি শ্যালিকার নামে নিয়েছেন। সেখানে মেয়ের নামে অনুপমা ট্রেডিং ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট বুথ খুলে শিক্ষক-কর্মচারীদের সেখানে একাউন্ট খুলতে বাধ্য করেছেন। প্রতিষ্ঠানের টাকা পয়সা তিনি নিজের নামে ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় কলেজ ক্যাম্পাসে একটি পুরাতন বাংলো ছিল। সেখানে জেলা প্রশাসকের সাবেক একজন কর্মচারী ছিলেন। ওই বিল্ডিংটি আব্দুর রউফ সরকার গোপনে বিক্রি করে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
একইভাবে আব্দুর রহমান মিন্টু রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রী কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, তিনি আলোকিত বাংলাদেশ নামের একটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দি ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার সাংবাদিকতার পেশায় জড়িত। রবার্টসনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন দি ডেইলি নিউ এই পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি, সিদ্দিকুর রহমান তিনি রংপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ বেতারের নগর প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করছেন। দৈনিক তিস্তা সংবাদের সম্পাদক ও গংগাচড়ার আলমবিদিতর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর ইসলাম। শরিফুজ্জামান বুলু তিনি পালিচড়া নয়াপুকুর মজিদা খাতুন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, মোনাব্বর হোসেন মনা হারাগাছ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক তিনি বায়ন্নর আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছেন, হাসান গোর্কি তিনি ভোরের কাগজ পত্রিকা, দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার পাশাপাশি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের চাকরি করছেন, মাহিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি বাংলাদেশের খবর ও ঢাকা টাইমস পত্রিকার রংপুর ব্যুরো প্রধানসহ কোলকতা টিভির রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করছেন।এরা সার্বক্ষনিক সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত থাকায় নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস না নিয়ে সাংবাদিকতার ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। তারা প্রায় সময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও বিভিন্ন স্থানে সময় ব্যয় করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকছে। অনেক সময় তারা ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে কাজ করেন বলে অভিযোগ আছে। এরা সাংবাদিকতা পেশাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ম্যানেজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় সাংবাদিকতার সাথে জড়িত থাকায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও এ নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি