নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাখালবুরুজ ইউনিয়ন শাখা ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা, দোয়া মাহফিল, দুস্থ্যদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে আমতলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে আমাদের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সারাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছিলেন এবং অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন, অনেকেই জীবনে বেঁচে আছেন।
বঙ্গবন্ধুর আশা ছিল-স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। বাংলাদেশের মানুষের পড়নে কাপড় থাকবে, পেটে ভাত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যতা থাকবে না। এমন একটি দেশের স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর।
আমরা সবাই জানি, ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সময় ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক সেই সময় যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন, যারা দেশকে স্বাধীন চান নাই, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চান না, ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চান না, সেই সমস্ত অপশক্তি এবং সেনাবাহিনী কিছু কুচক্রী উচ্চাভিলাষি কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। শুধু তাকেই নয় যিনি নেপথ্যে থেকে শেখ মুজিবকে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন তাঁর সেই স্ত্রী বেগম ফজিলাতুনন্নেছা, নিষ্পাপ শিশু সন্তান শেখ রাসেল, শেখ কামালসহ সপরিবারে হত্যা করে। বিদেশে অবস্থান করার কারণে সেদিন বেঁচে যান দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। কিন্তু সেদিনের সেই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। হয়নি এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাননি। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কর্ণধার হয়ে দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় আসেন। আবার বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখান। বাবার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি। তাই আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে, তাঁর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করব। দেশ এগিয়ে যাবে।
রাখালবুরুজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মাস্টারের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজী জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি খন্দকার আঃ রহমান মাষ্টার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক,যুব ও ক্রীড়া বিষয় সম্পাদক শৈলেন্দু মোহন রায় স্বপন ,তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আতিকুর রহমান আতিক।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুল ইসলাম, ১ নং প্যানেল মেয়র শাহিন আকন্দ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক শাকিল আকন্দ বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক তৌকির হাসান রচি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহবায়ক তারিক রিফাত,সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফরহাদ আকন্দ,যুগ্ন আহবায়ক মুক্তার হোসেন সাদ্দাম,বাবুল ইসলাম,কাজী এমদাদুল হক,ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আনিছুর রহমান, ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লিটু মাস্টার, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল লতিফ প্রধান, আনারুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, শরিফুল ইসলাম, শিমুল, ছাত্রলীগ নেতা জাফিরুল ইসলাম, জুয়েল ইসলাম, শাহিদ হাসান শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ নেতা আপেল-সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply