রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসতঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অপর পক্ষের মোস্তফা নামে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। উপজেলার শুক্তাগড় এলাকায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ার উপজেলার শুক্তাগড় এলাকার মৃত আব্দুল খালেক মাস্টারের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
আহতরা হলো আব্দুল হান্নান হাওলাদার (৭০) ও তার দুই ছেলে আবু সাহান হাবিব (৪৫), আবুল হোসেন (৩০)। অপর পক্ষে দুই ভাই মো. হুমায়ুন কবির ও নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে আব্দুল হান্নান হাওলাদারের বাড়ির পাশে বিরোধীয় জমিতে জোড়পূর্বক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ার ও তার দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও নজরুল ইসলাম লোকজন নিয়ে চাষ করতে যায়। এ সময় আব্দুল হান্নান হাওলাদার ও তার দুই ছেলে আবু সাহান হাবিব, আবুল হোসেনকে সাথে নিয়ে বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরে দুপুরে মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ার নারী-পুরুষসহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দাও, রামদা, লাঠি নিয়ে আব্দুল হান্নান হাওলাদারের ছেলে সাহান হাবিবের বসতঘরে হামলা চালিয়ে বসতঘর সহ ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে এবং মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের পাচঁ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
মো. মিলন মাহমুদ দেলোয়ারের ভাই মো. হুমায়ুন কবির জানায়, প্রতিপক্ষরা আমার মাথায় একটা কোপ দেয় পরে আরও একটা পিটান দিতে আসলে আমি হাত দিয়ে ফিরাই এবং জমির মধ্যে পরে যাই পরে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা।
আব্দুল হান্নান হাওলাদারের ছেলে আবু সাহান হাবিব জানায়, আমাদের জমি জোড়পূর্বক চাষাবাদ শুরু করলে আমিসহ আমার বাবা ও ভাই বাধা দিলে আমাদের জমিতেই মারধর করে। পরে আমার বসতঘর ভাংচুরসহ মালামাল টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মিলন মাহমুদ দেলোয়ার ও মোস্তফা নামে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আনা হয়েছে।