রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে মহিলা ইউপি সদস্য কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের অর্থয়নে ৫৫ হাজার ৮ শত টাকায় ব্যয়ে নির্মিত বক্স কালভাট নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে ভেঙ্গে পানির চাপে ভেসে গেছে। ফলে আশেপাশের দুই পাড়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ভাতকাঠি খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্মানের একমাসের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্ট, ছবি বিজয়ের বানী
বড়ইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, স্থানীয় কবির হোসেন ও সোহরাপ সিকদার অভিযোগ করে জানায়, নামে মাত্র রড সিমেন্ট সামগ্রী ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্স কালভাট।
এমনকি শ্রমিক না নিয়েই বড়ইয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুবিনা বেগম নিজের পিতা কবির হোসেন ও ব্যক্তিগত সহকারি সিদ্দিক’কে দিয়ে কালভার্টটি নির্মান করেছেন। একটি রড থেকে ছয় টুকরো করে পাঁচ টুকরো কাজে লাগিয়ে এক টুকরো বাড়ি নিয়ে গেছে এবং ছয় ব্যাগ সিমেন্ট দিয়ে এই কালভার্ট নির্মান করেছে। পরিমানমত রড সিমেন্ট না দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মহিলা ইউপি সদস্য রুবিনা বেগম।
আগে ওই স্থানে মোটা পপ্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে স্থানীয়রা পানি আসা যাওয়ার ব্যাবস্থা করে লোকজন সহ হাল চাষের গরু ও ট্রাক্টর যাতায়াত করতো। বর্তমানে নবনির্মিত কালভার্টটি ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে ভেসে যাওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী। বর্তমানে গরু ও ট্রাক্টর না নিতে পেরে প্রায় কয়েকশো একর জমি অনাবাদির শঙ্কা করছে কৃষকরা। বেশী ¯্রােত থাকায় ঐ স্থানে স্থানীয়রা কালভার্ট নির্মান করতে নিষেধ করলে নারী ইউপি সদস্য রুবিনা বেগম স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ইউপি সদস্য রুবিনা সংবাদ না করার অনুরোধ করে জানান, বরাদ্দ কম হওয়ায় সেই টাকা দিয়ে কালভার্টটি নির্মান করায় পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। আমরা পরিষদে সিদ্দান্ত নিয়েছি ঐ স্থানে আবারো পরিষদ থেকে টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন করে কালভার্ট নির্মান করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, ভাতকাঠি খেয়াঘাট এলাকার কালভার্টটি ভেঙ্গে ভেসে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ওখানে পুনরায় বরাদ্দ দিয়ে নতুন কালভার্ট নির্মান করা হবে।