ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মো. মামুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করেছেন। বুধবার বিকালে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়ার এফএফএল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ নোমানী এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ থেকে জানাগেছে, মামুন-অর-রশিদ এ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম, উৎকোচ গ্রহন, সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।
যেমন- বিশখালী নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অর্থের বিনিময়ে বিত্তবানদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। সাতুরিয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া খালের উপর ২০ফুট দৈর্ঘের একটি কার্লভার্ট নির্মাণে পাথর ও লাল বালু ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু এই কর্মকর্তা কাজের বিশ শতাংশ ঘুশ গ্রহনের শর্তে ইটের খোয়া ও সাদা বালু দিয়ে কালভার্টি নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বালু ভরাট, ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন উপকরণে ঠিকাদারের নাম ব্যবহার করে কাজের দশ ভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। টিআর, কাবিখা,কাবিটা, হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীন রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কাজে বরাদ্দের ১২ শতাংশ ঘুষ না পেলে বিল পাশ করেন না তিনি। সম্প্রতি অনের নামে উপজেলা পরিষদের পুকুর খনন দেখিয়ে বিশ টন টিআর অত্মসাৎ করেছেন এই কর্মকর্তা। এসবের মাধ্যমেই মামুন-অর-রশিদ অবৈধভাবে সম্পদের পাহার গড়েছেন। যা দিয়ে নামে-বেনামে ঢাকা, বরিশাল ও নিজ এলাকা বানারীপাড়ায় একাধিক ভবন নির্মাণ করেছেন। তার ব্যবহারের জন্য রয়েছে দামি গাড়ি। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে নগদ টাকা জমা এফডিআর, জমি ক্রয় করেছেন বলে অভিযোগপত্রে থেকে জানাগেছে। এমনকি জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথের তিনি খারাপ আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য গতকাল বিকালে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে লেবার দিয়ে উপজেলা পরিষদের পুকুর খননের কাজ শুরু হয়।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ এর মুঠো ফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি কোথায় আছে অফিস থেকে বের হতেছি’ এই বলে ফোন কেটে দেয়।