রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদকসেবীর দেয়া আগুনে ছয়টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সাউথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন হতাহত নেই। এ ঘটনার অভিযুক্ত মাদকসেবী ঐ ছেলের নাম মো. বাপ্পি হাওলাদার (৩০)। সে ঐ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. আহসান কবিরের মেঝ ছেলে। ঘটনার পরে স্থানীয়রা বাপ্পি উত্তম মধ্যম দিয়েছে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো হলো সাবেক ইউপি সদস্য মো. আহসান কবির, রাজাপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আতিকুর রহমান ফারুক, প্রয়াত আলম হাওলাদার ও তার ভাই টিপু হাওলাদার, জেসমিন বেগম এবং কামরুজ্জামান শিমুল।
স্থানীয়রা জানায়, একই বাড়ির আহসান কবিরের মেঝ ছেলে বাপ্পি একজন মাদকসেবী। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই ঘরের মধ্যে ভাংচুর করতো। এলাকাবাসির চাপে তাকে সুস্থ্য করতে রিহ্যাব কয়েক বার জেলহাজতে রাখতে বাধ্য হয় বাপ্পির পরিবার। মা নেহার কবির এর অনুরোধে কয়েকমাস পূর্বে বাপ্পি জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে বাপ্পি তার পরিবারের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবী করে। টাকা না পেয়ে বাপ্পি তার বাবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তাদের বসতঘর সহ ছয়টি ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সাভির্স ঘটনা স্থলে এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই বসতঘর সহ সমস্ত মালামাল আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও সমস্ত মালামাল পুরে ছাই হয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানায়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আতিকুর রহমান ফারুক ও দুবাই প্রবাসী শামিমের স্ত্রী নিলা বেগম জানায়, বাপ্পি মাদকের টাকার জন্য নিজেদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে আমাদের ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এর আগেও বাপ্পি মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে নিজেদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তবে অভিযুক্ত বাপ্পি বাবা আহসান কবির কোন মন্তব্য করেনি।
রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, ক্ষতির পরিমান ও অগুনের কারণ এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে কারো কাছ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।