সোহেল রানাঃ
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খরস্রোত তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলিন হয়েছে গতিয়াশম গ্রামের এক হাজার পরিবারের বসতবাড়িসহ আবাদী জমি। ভাঙ্গন কবলিত পরিবারদের মিলছে না ত্রাণ,হুমকির মুখে রয়েছে আরো দুই হাজার পরিবার।তিস্তার ভাঙনে সর্বশান্ত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যের বাড়িতে,রাস্তা কিংবা অন্যের জমিতে কোনরকম তাবু টাঙিয়ে পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনকাটাচ্ছে।
ভাঙন কবলিত পরিবার
গুলো সরকারি বেসরকারি সহযোগীতা পাননি বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান,বিগত পঞ্চাশ বছরেও এমন ভাঙনের দৃশ্য আমরা দেখিনি।অতীতের তুলনায় এ বছর ভাঙন রেকড ছাড়িয়ে, আর এমন ভাঙনের একমাত্র কারন হিসেব দায়ি করছেন যততত্র অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে একাধারে বালু উত্তোলন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে বাধা দিয়ে লাভ হয় না,প্রশাসনকে জানালে ব্যবস্থা গ্রহণেও বিলম্ব হয়।
বসতভিটা হারানো একাধিক সদস্য নাম প্রকাশে অনাচ্ছুক ব্যক্তি জানান, বর্ষাকালে আমরা নদী ভাঙনের বারবার স্বীকার হয়,পানি কমে গেলে স্থানী কিছু লোক ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে নদীর তীরের পাশেই অবৈধ ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন করেন। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪ মাস পুর্বে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ করতে আসা ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার জন্য অবরোধ স্থানীয় কতিপয় লোকজন। আর আমরা প্রতিবাদ করলেই বাড়ীতে থাকতে দিবে না, এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ।
আবার যদি প্রশাসন আসে তাদের কেও লাঞ্ছিত করা হয়,রিয়াজুল বলেন, ভাঙনরোধে সরকারের তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি,বাদশা মিয়া বলেন,ড্রেজার লাগালে ইউএনও,চেয়ারম্যান কেউ বন্ধ করতে আসেনা,বালু তোলার কারণে জমি নিচু হয় সেই কারণে আমরা ভাঙনের মুখে পরেছি।
মন্তাজ আলি জানান,নদী ভাঙনে সব হারিয়েছি কিন্তু আমাদের খবর নিতে বা দেখতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান কেউ আসেনি, আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে ফোন দিলে বলে আমার ভোট ঐ এলাকায় নাই।
কুড়িগ্রাম পাউবো'র এস,ডি মাহমুদুল হাসান জানান, তীররক্ষা বাবদ প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য ইতোমধ্যে গত জুলাই মাসে পানি উন্নয়ন বোড অনুমোদন চেঁয়েছে,যাহা অনুমোদন পেলে কাজ করা সম্ভব হবে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনিম কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে পাওয়া যায়নি।