মোঃ রুবেল মিয়া
রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট রেলগেট হতে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১কিঃমিঃ সড়কের সংস্কার কাজ হঠাৎ বন্ধ করে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রুপান্তর জেভি।ফলে হাসপাতালে রোগীবাহী এম্বুলেন্স সহ সাধারণ পথচারী ও মালবাহী যাহবাহনের যাতায়াত করা বেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়িছে তবুও নজর নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।এলাকাবাসী জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্রেক্সে যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ করে রাখা ঠিক হয়নি।বিশেষ করে রোগীবাহী যানবাহন গুলোকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।অনেক সময় গর্ভধারিণী মা বোনদের দূর্ঘটনার কবলে পরতে হয়। অফিস সুত্রে জানা যায় সংস্কার কাজটি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এডিবি ও জিওবির অর্থায়নে রাজারহাট রেলগেট হতে সেলিমনগর বাজার পর্যন্ত ৮কিঃমিঃ রাস্তাটি সাড়ে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করেন রুপান্তর জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলজিইডির তত্ত্বাবধায়নে গত বছরের শেষের দিকে প্রায় ৭কিঃমি সংস্কার কাজের কার্পেটিং শেষ করেন রুপান্তর জেভি।বাকী প্রায় ১কিঃমিঃ রাস্তাটির কার্পেটিং শেষ না হওয়ায় জন সাধারনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।অথচ গত এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
স্থানীয়রা দাবী করে বলেন যত দ্রুত সম্ভব বাকী কাজটুকু শেষ করে আমাদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিন।কেননা এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা, হাসপাতাল সড়ক হওয়ায় এমনিতে ব্যস্ত সড়ক তার উপরে আবার পাশ্ববর্তী জেলা লালমনির হাটের সংযোগ সড়ক হওয়ায় দিনরাত বাস , ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটো ইত্যাদি সহ নানান পন্যবাহী যানবাহন অনাবরত চলাচল করে।তাই যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টের প্রতি দাবী জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে রুপান্তর জেভির প্রতিনিধি খোকন বলেন করোনাকালিন সময়ে লকডাউন থাকায় কাজটি যথা সময়ে শেষ করতে পারিনি।তাছাড়া এখন বর্ষা মৌসুম তাই বাকী সংস্কার কাজটুকু বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মোঃ শফিউল্লাহ জানান ঠিকাদারের পরিবারের সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজটি শেষ করতে পারেননি।আশা করছি বাকী সংস্কার কাজ টুকু অতি শিগগিরই সম্পন্ন হবে।