বগুড়া প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই মেলা, চলছে প্রস্তুতি মধু মাসের দ্বিতীয় রবিবার আগামীকাল বগুড়া সদরের ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়ালের মেলা।
রবিবার বগুড়া সদর উপজেলার নূনগোলা ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়াল মেলা। অনুসন্ধানে জানা যায়, কোন এক সময়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষেরা এই মেলাটি নিষান উত্তোলর্ণ করে স্থাপন করে ছিলেন। বগুড়া সদর উপজেলা থেকে বারপুর হয়ে পূর্ব পশ্চিম কর্ণারে নূনগোলা ইউনিয়নের রজাগপুর গ্রামের পার্শ্বে, দাড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মেলাটি স্থাপিত হয়েছিল।
প্রতি বছরের ন্যায় বাংলা জৈষ্ঠ্য (মধু) মাসের দ্বিতীয় রবিবার মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষেরা নিষান উড়িয়ে মেলাটি শুরু করে ছিলেন। এর ধারা বাহিকতায় আজও এ প্রজন্মের লোকেরা তাদের ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য মেলাটি ধরে রেখেছেন। মেলাটিতে বেশি পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ ও মধু মাসের মৌসুমী ফল যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, গাব, বড়াল ফল, আনারস, তরমুজ, বাঙ্গি, লটকট, তালখুর সহ মৌসুমী ফল এবং কাঠের আসবাসপত্র তুলা ও হরেক রকমের মিষ্টিসহ রান্নার ডাল মসলা। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি ও কাঠের ও মাটির তৈরি শিশুদের খেলনা ও কাঠের আসবাবপত্র। তাছাড়াও শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকছে ঐতিহ্যবাহী বুলবুল সার্কাস, জাদু খেলা, নাগর দোলা, চরকি, মোটর সাইকেল খেলা ও পুতুল নাচ।
মেলা উপলক্ষে আশ-পাশ এলাকার গ্রামের নতুন ও পুরাতন জামাইদের দিতে হয় দাওয়াত। জামাইদের দিতে হয় নতুন কাপড় ও মেলা দেখার জন্য দিতে হয় মোটা অংকের সেলামি। আবার কোন কোন জামাই শ্বশুর বাড়ীতে নিয়ে আসে বড় বড় মাছ, নানা রকমের মিষ্টি। মেলাটি প্রথমে এক দিনের যাত্রা শুরু করলেও তাহা বর্তমানে তিন দিন ধরে অবস্থান করে। এব্যাপারে নুনগোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদরুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান মেলাটি শান্তি পূর্ণ ভাবে পরিচালনার জন্য আইন শৃংখোলাবাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও গয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা সার্বোক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। আনন্দ বিনোদনের জন্য যেসব সার্কাস, যাদু খেলা এসেছে সেখানে শুধু যাদু ও খেলাধুলা হবে কোন অশ্লিলতা বা জুয়া খেলা বরদাশ করা হবেনা, যদি কেউ এধরনের কাজের সাথে জড়িত হয়,তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বা আইন শৃংখোলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে সোপর্দ করা হবে।