রায়পুরায় দুই উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নৌকার বিজয়ী :-
আশরাফুল ইসলাম সবুজ
জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা পরিষদ ও মির্জারচর ইউপি উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বাকী ৪ সতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।
এর আগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় ওইদিন সন্ধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।
জানা যায়, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক নিহত হলে এবং একই মাসের ১৩ ডিসেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে দুটি শূন্য পদে গত ২৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার।
পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘীরে আ.লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইলেও মনোনয়ন পায় লায়লা কানিজ লাকি এবং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে জাফর ইকবাল মানিকের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পায়। পরে (২৬ ফেব্রুয়ারি) রোববার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাহফুজা আক্তারের বিপক্ষে কোন প্রার্থী না থাকায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আ.লীগ থেকে মনোনীত লায়লা কানিজ লাকি সহ মোট ৬জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। পরে শাহ্আলম নামে একজন সতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে নৌকা প্রার্থী সহ মোট ৫জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে (২৭ ফেব্রুয়ারি) সোমবার জেলা ও উপজেলায় মোট ৪জন সতন্ত্র প্রার্থী প্রত্যাহারের করলে নৌকা মনোনীত প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকিকে বিজয়ী করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, আপাতত কার্যক্রমে উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত লায়লা কানিজ লাকি বিজয়ী। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পাচ্ছি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে যে একজন সতন্ত্র প্রার্থী শাহ্আলম বাদ পরেছিলেন তিনি নাকি হাই কোর্টে গিয়েছেন। যদি তা সত্য হয় তাহলে লাকী বিজয়ী নন। এছাড়া মোছা মাহফুজা আক্তার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে একক প্রার্থী হন। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় রোববার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।