মোঃ জাহিদ হোসেন ইমরান
রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি ।
গত ০৮/০৭/২০২১ তারিখ দুপুর ১২:৩০ আবু তাহের মোল্লা বসত ঘরের পশ্চিম পাশের দরজায় তার মালিকানাধীন দখলীয় সম্পত্তিতে সুপারি গাছের চারা রোপণ করাকালীন রত্না বেগম এসে বলে তাদের সীমানায় গাছ লাগানো হচ্ছে । আবু তাহের মোল্লার সাথে রত্ন বেগমের তর্কবিতর্ক হয় । আবু তাহের মোল্লা তার জমিতে সুপারি গাছের চারা লাগানোর সময় হঠাৎ করে রত্না বেগম রান্না ঘর থেকে আলু সিদ্ধ করার গরম পানি নিয়ে এসে আবু তাহের মোল্লাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তিতে অনধিকারে প্রবেশ করে পিছন দিক হতে আবু তাহের মোল্লার মাথায় গরম পানি ঢেলে দেয় । গরম পানিতে আবু তাহের মোল্লার মাথার কিছু অংশ , ঘাড়ের বাম পাশে , বুকের চামড়া উঠে গুরুতরভাবে জ্বলসানো যখম হয় । আবু তাহের মোল্লার চিৎকার শুনে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও বড় মেয়ে তাহমিনা আক্তার ছুটে আসলে শিমু আক্তার ও মোঃ রতন মাঝি লোহার লড ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে । শিমু আক্তার লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহমিনা আক্তারের মাথায় বারি মারে ফাটা রক্তাক্ত যখম করে । মোঃ রতন মাঝির হাতে থাকা লাঠি দ্বারা এ্যালোপাথরী বারি মারে খুরশিদা বেগমের হাতে কোমরেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও থেতলানো জখম করে । শিমু আক্তার তাহমিনা আক্তার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বারি মারে তাহমিনা আক্তারের কপালে ফাটা রক্তাক্ত জখম করে । রত্না বেগম তাহমিনা আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। রত্না বেগম, শিমু আক্তার ও মোঃ রতন মাঝি হত্যার উদ্দেশ্যে আবু তাহের মোল্লা , খুরশিদা বেগম ও তাহমিনা আক্তার কে এলোপাথারী মারধর করে আহত করে । আশেপাশে লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে । আবু তাহের মোল্লাকে আসেপাশের লোকজন ও তার পরিবারের সদস্যরা রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে আসে ।
আবু তাহের মোল্লার পরিবার রায়পুর থানায় রত্না বেগম, সিমু আক্তার ও মোঃ রতন মাঝি বিরুদ্ধে মামলা করে ।