রুস্তমপুর হাদারপাড়ে পাথর খেকু ও ভূমি খেকুদের থাবায় বিলীন হচ্ছে ঘর বাড়ি এবং বসত ভিটা।
সিলেট ব্যুরোঃ
গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের বগাইয়া গ্রামে পাথরখেকু ও ভূমিখেকু চক্রের আবুল কাশেম গংদের থাবা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন বসত-ভিটা ভেঙ্গে যাওয়া পরিবার গুলো।
ফেলুডার ও বোমা মেশিনসহ পরিবেশ বিনষ্টকারী দানবযন্ত্ৰ দ্বারা পাথর উত্তোলন করে সর্বনাশ করছে পরিবেশ ও বাড়ি-ঘর।
বসত-ভিটা ভেঙ্গে গর্তের সাথে মিশিয়ে একাকার করে দিচ্ছে মর্মে গত ২১ মে, শুক্রবার গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বগাইয়া গ্রামের মতিউর রহমান (৬০)। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, "একই গ্রামের আবুল কাশেম (৪০), আবুল হোসেন (৪৫), আবুল হাশেম (৩৫), সর্ব পিতা হাকিম আলী এবং অপরাপর লোকজন মিলে ফেলোডার এবং বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করায় গহীন গর্তের সৃষ্টি হয়, পরিবেশ নষ্ট করে ও আমার ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে দেয়। ফলে আমার বসতঘর ধসে পড়ে পানিতে মিশে একাকার হয়ে যায়, এতে আমার প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
আমার বসত-ভিটা রক্ষা করার কথা তাদেরকে বল্লে, আমাকে তারা ভয়-ভিতী ও প্রানে মারার হুমকী দেয়। এতে আমি ও আমার পরিবার, ছেলে-মেয়েসহ সবাই আতংকে জীবন যাপন করছি। এমতাবস্তায়, আমি গোয়াইনঘাট থানাসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি যানাচ্ছি।
মর্মে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন মামলার বাদি মতিউর রহমান। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ মে, শনিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন গোয়াইনঘাট থানার এস.আই মাসুম আহমদ। জানতে চাইলে এস.আই মাসুম জানান, "বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের জন্য মামলায় বর্নিত আবুল কাশেম, স্থানীয় মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে নিয়ে সামাধান করার কথা বললেও এখন পর্যন্ত আমাকে সেরকম কিছু জানায়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার বাদিসহ পরিবারে সদস্যরা আতংকের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান মতিউর রহমান। এ বিষয়ে কথা বলতে মামলায় বর্নিত আসামী আবুল কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।