মোঃ আশরাফুল ইসলাম খুলনা সদর প্রতিনিধি
খুলনার খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের সিয়ালি গ্রামে মসজিদের ইমামকে লাঞ্ছিত ,মসজিদের ভিতরে থাকা মুসল্লিদের ইট নিক্ষেপ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ,এর একদিন পর মন্দির এবং স্থানীয় কিছু দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এই ঘটনায় পুলিশের১০ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে ।
ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং এলাকায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
মসজিদের ইমাম নাজিম সমাদ্দার বলেন গত ৫ আগস্ট মসজিদে এশার নামাজের সময় হিন্দু সম্প্রদায় ২৫/৩০ জন লোক ঢাকঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও উচ্চ আওয়াজে উলূ দিয়ে নাম কীর্তন করতে করতে মসজিদের সামনে দিয়ে যাইতে থাকে ,উচ্চ আওয়াজে এশার নামাজের বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে আমি তাদেরকে মসজিদের সামনে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে দূরে গিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে বলি । এর পর ৬আগস্ট এশার নামাজের সময় ও এক ই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবংএশার নামাযের বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে তাদেরকে বুঝিয়ে মসজিদের সামনে নামাজের সময় এমন আওয়াজ না করতে অনুরোধ করি, তখন হিন্দুসম্প্রদায়ের আমার ওপরে তেড়ে আসে গলা ধাক্কা দেয়,এবং সিবধর নামে এক ব্যক্তি মসজিদকে এই জায়গায় না রাখার হুমকি দিয়ে বলেন এই জায়গায় মসজিদ রাখা যাবে না।
একপর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৫/৩০জন লোকের সঙ্গে ৬/৭জন মুসল্লি তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের ভিতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে
এর আগেও মাসুম নামে এক যুবক হিন্দুদের নামাজ বিঘ্ন সৃষ্টি কারী এমন কর্মকাণ্ডের না করার অনুরোধ জানালেও তাকেও তারা লাঞ্ছিত করে
পরবর্তীতে ৭ আগস্ট বিকালে গোয়াড়া শ্মশান মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে ।কে বা কারা সিয়ালি পূর্ব পাড়া এলাকায় হরি মন্দির, দুর্গা মন্দির ,শিবপদ ধারের বাড়ি গোবিন্দ মন্দির এবং কিছু দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুবাইয়া তাসনিম ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) খান মাসুম বিল্লাহ ,রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন এলাকা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্যঃ পশ্চিম পাড়া মসজিদ ও শ্মশান মন্দির থেকে ভাংচুরকৃত দোকানপাট ২ কিলোমিটার দূরে ।
রুপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন এই ঘটনায় শক্তি বসু বাদী হয়ে ২৫/৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারনামীয় ৯জনকে সহ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি। এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। তবুও অতিরক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুবাইয়া তাসনিম বলেন সেইদিনের দ্বন্দ্ব সেই দিনই মিটে গিয়েছিলো, এদিনের ঘটনা শনিবারের ঘটনার সঙ্গে কোন সম্পর্ক পাচ্ছিনা। শুক্রবার ওই ঘটনার পরপরই প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কে নিয়ে স্থানীয় মুসলিম ও হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করি ।
খুলনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম বলেন ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের কোথায় আনা হবে।