র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম অবশেষে পদোন্নতি পেলেন হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজকে এনজেবিডিনিউজ এডিটর ও সাংবাদিক। মোঃ নাসির বলেন,কথায় আছে ত্রবং আমি মনে করি মানুষ সৎ ও অসৎ উভয় ব্যক্তিকেই মনে রাখে-তবে একটা শ্রদ্ধা ও আরেকটা ঘৃনার সাথে | খোদা ভালো মানুষের সাথে সবসময় থাকেন ।ত্রবার বলা যাক ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এর কথা তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে বিশেষ করে ভেজাল খাদ্য, নকল প্রসাধনী ছাড়াও অ’বৈধ হাসপাতাল পরিচালনা, মা’দকবিরোধী অ’ভিযান এবং আ’লোচিত ক্যাসিনো অ’ভিযান অন্যতম। ২০১৯ সালে ফকিরাপুলে ক্যাসিনোতে ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অফিসে অ’ভিযান ছিল সবচেয়ে আ’লোচিত। এসব ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থেকে অ’ভিযান পরিচালনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া ৮ মা’র্চ ২০২০ সালে দেশে করো’নার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, নকল মাস্ক-গ্লাভসের বি’রুদ্ধে অ’ভিযান পরিচালনা করেছেন র্যা’বের এই সাবেক চৌকস কর্মক’র্তা।এ ছাড়া ফার্মগেটে পদচারী-সেতু দিয়ে চলাচল না করে সড়ক পারাপারের ঘটনায় নামমাত্র জ’রিমানা করে যাত্রীসাধারণকে সচেতন করেন তিনি। কি’শোর গ্যাং আ’ট’কে অ’ভিযান, কুকুর ও পশুর মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন উ’দ্ধার, নামীদামি হাসপাতা’লে অ’ভিযান, হ’জের টিকিট জালিয়াতির বি’রুদ্ধে অ’ভিযান, পুরান ঢাকার কেমিকেল অ’ভিযান ও জ’ড়িতদের জে’ল-জ’রিমানাসহ অসংখ্য আ’লোচিত অ’ভিযানে অংশ নিয়ে দেশজুড়ে একনামে পরিচিত হয়ে ওঠেন অ’প’রাধী চক্রের পিলে কাঁপানো সারওয়ার আলম। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাড়িতে অ’ভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আ’দালত পরিচালনা করে তিনি আরও আলোচনায় আসেনসারোয়ার আলম বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তাকে (promotion )পদায়ন দেওয়া হয়নি ,কারন তিনি ভালো কাজ করেছেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য ।হায়রে বাংলাদেশ।সারোয়ার আলমকে মোঃনাসির দেখেছেন একজন সাদা মনের মানুষ,বন্ধুবৎসল -শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়ী ।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিতদের লম্বা তালিকায় থাকা ১১৭ কর্মকর্তাকে আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় নাম আছে র্যাবের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। আর এই পদোন্নতির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।সারওয়ার আলম লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম।’২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সারোয়ার আলম। ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সে অনুযায়ী এ পদে প্রায় সাত বছরসহ মোট ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সেসময় পদোন্নতিবঞ্চিত হন সারওয়ার আলম।এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়।’
স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর সারওয়ারকে বিচারের আওতায় আনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। এ বিষয়ে সারওয়ার আলম আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।