লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভীড়- লজ্জায় করোনা হোম কোয়ারেন্টাইনে ।
জিহাদ হোসেন রাহাত।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
হঠাৎ এক সপ্তাহের লকডাউনের সংবাদ আর অন্যদিকে আগত রমজানকে কেন্দ্র করে আজ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরটি যেন হঠাৎ করেই শান্ত থেকে অশান্ত শহরে রুপ নিয়েছে ! রাস্তাঘাট,দোকানপাট,স্থানীয় ব্যাংক গুলোতে লোকে লোকারন্য,কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আজ রবিবার সকাল থেকে রায়পুর শহরের প্রধান সড়ক,মুড়িহাটা,মধ্যবাজার,হলরোড গুলো সরেজমিন ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখাযায়। শহরের যানজট নিরশনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রায়পুর থানা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকেও রাস্তায় দেখাযায়। মুদি দোকান,ফার্মেসী,সব্জি দোকান,ডাল-চালের আড়ৎ,মাছ মাংসের দোকান গুলোতে ক্রেতা সাধারণের উপছেপড়া ভিঁড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা সময়কালীন পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের কোন অস্বাভাবিক গতির খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাংক গুলোতে ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানাযায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ লেনদেন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে,সকাল দশটা থেকে কেউই যেন দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছে না। মধ্যবাজার শাহাজান পাটোয়ারীর চালের আড়ৎদার জানান অন্যান্য দিনের মত আজও পাইজাম চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২,২৩০ টাকা,মিনিকেট ৩,০৫০ টাকা,স্বর্ণা ২,২৫০ টাকা,তবে গোডাউনে তেমন কোন মজুদ রাখা হয়নি।
অপরদিকে শহরের ভিতর রিক্সা,অটোরিক্সা,ভ্যানগাড়ী,সিএনজিসহ দেড়টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবহন গুলো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী গুলো অধিক হারে বহন করে বিভিন্ন গ্রামীন বাজারের উদ্দেশ্যে ছুটে যেতে দেখা গেছে। এগুলো অসাধু সিন্ডিকেট বাহিনীর কারসাজী হতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য সর্বক্ষন মনিটরিং ব্যবস্থা এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্যও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন রায়পুরের ভোক্তা সাধারণ।