জিহাদ হোসেন রাহাত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
দুর্গন্ধে অতিষ্ট জনজীবন,দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লাখো মানুষ।লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বর্ডার বাজার এলাকা যেন পরিনত হয়েছে ময়লার নগরীতে। দুই জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণের হিড়িক ফেলে দিয়েছে রায়পুর পৌরসভা। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি। অথচ দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও সেটি পারছে না রায়পুর পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলস্বরূপ চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা পোহাচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগ। দুর্গন্ধ এমন-পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হয় পাবলিক টয়লেট। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থা চলে আসলেও পৌরসভা ও বাজার কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে নেয়নি চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ। আবর্জনার কারণে ডাকাতিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত চরপাতা ইউপির খালের পানি প্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।বিষাক্ত পানি আটকে গিয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য। শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে উঠছে। আঞ্চলিক এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। তাছাড়া অভিযোগ দিলেও আবর্জনার ভাগাড় নিয়ে কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ- এমন অভিযোগ করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। কেউ এটিকে দুর্গন্ধের দুয়ার মনে করছেন।
মহিউদ্দিন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখন দুর্গন্ধ তুলনা মূলক কম। শীতে-বর্ষায় অধিক দুর্গন্ধ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এখানে। বায়ুর প্রবাহ বেশি হলে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে ওঠে।
নিয়মিত এই রুটে যাতায়াত করা গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ-বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আবদুল কাদির জীবন বলেন, বায়োপলিমার এবং বায়োডিগ্রেডেবল পদ্ধতি ব্যবহার করে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দূষণ রোধ করা যেতে পারে। পরিবেশ দূষণ রোধ কল্পে আশপাশের জেলা-উপজেলার প্লাস্টিক বোতল-বর্জ্য সংগ্রহ করে একটি প্লাস্টিক রিসাইকেল শিল্পও গড়ে তোলা সম্ভব। এতে দূষণ রোধের পাশাপাশি সুযোগ সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, স্থান সংকুলানের কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যহত হচ্ছে। পৌরসভায় বসবাসরত আগ্রহী বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্লাস্টিক রিসাইকেল শিল্প স্থাপন করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পৌর নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা একজন মেয়র হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব ঠিক তেমনি নগরের বাইরের কোনো নাগরিকের দুর্ভোগ না হয় সে চেষ্টা করাও আমার কর্তব্য। সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছি।