লক্ষ্মীপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ইলিশ নিধন
জিহাদ হোসেন রাহাত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে জাটকা ইলিশ টাটকা দামে বিক্রি করে মুনাফা গড়তে মরিয়া এখানকার কিছু অসাধু জেলে।
প্রতি বছর আশ্বিন মাসকে (অক্টোবর) ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরা হলেও মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়েও চলে ইলিশের অবাধ প্রজনন। প্রজননের এই সময়টায় থাকে ইলিশ আহরণ, বিক্রি ও বহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আলেকজান্ডার এলাকা থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১শত কিলোমিটার জুড়ে চলছে ইলিশ নিধনের এই মহোৎসব।
প্রশাসন জানায়, সরকার মার্চ-এপ্রিল মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মার্চের শুরু থেকে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার জেলেরা জাটকা নিধনে নদীতে নামে। নববর্ষকে সামনে রেখে জেলেরা পুরোদমে মেঘনায় মাছ ধরা শুরু করেছে। হাজীমারা ঘাট, আলতাফ মাস্টার ঘাট, পুরান বেড়ি ঘাট, পানিরঘাট ও কানিবগার চরসহ উপকূলীয় আশপাশ এলাকার ১০-১২ ঘাটে প্রতিরাতেই জাটকার হাট বসছে। তবে পুরান বেড়ি ও পানিরঘাটে বেশি বেচা-কেনা হয় জাটকা।
খাসেরহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তা বেপারী জানান, অসাধু জেলেরা নদীর পাড়ে পানির দামে জাটকা কিনে নেয়। পরে তা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। বিশেষ করে বরিশাল অঞ্চলের জেলেরা জাটকা ধরে রায়পুরসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রি করছে। দু’মাস নদীতে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু এ বছরের বরাদ্দ এখনো জেলেরা পায়নি।
তিনি জানান, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ বছর নদীতে তেমন কোন অভিযান চালাচ্ছে না। তাই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, জাটকা নিধন রোধে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ পর্যন্ত নদীতে অনেকগুলো অভিযান চালানো হয়েছে।
Leave a Reply