জিহাদ হোসেন রাহাত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
ঈদ মূলত খুশি-আনন্দের হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ও চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটিতে বিরাজ করছে বাড়তি ভাড়ার আতঙ্ক। এখানকার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
যাত্রীরা জানান, চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে রায়পুর ও রায়পুর থেকে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা ও চট্রগ্রাম ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে চালকেরা সুকৌশলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। রায়পুর থেকে বিভিন্ন রুটে দৈনিক প্রায় ৮০টি যাত্রীবাহী বাস এবং প্রায় ১৫০০ সিএনজি চলাচল করছে।
রায়পুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, ট্রাফিক মোড়, সাব-রেজিষ্টার মসজিদের সামনে, রায়পুর-ফরিদগঞ্জ সিএনজি টার্মিনাল ল্যাংড়া বাজার, বর্ডার বাজার, টিএনটি সড়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে, মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সামনে, ভূঁইয়ার রাস্তা, থানার মসজিদ গেইট, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে, নতুন বাজার, মিরগঞ্জ সড়ক, বাসাবাড়ি বাজার-হায়দরগঞ্জ সড়কে বড় বাস ও সিএনজি চালকেরা ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালকদের সঙ্গে মারামারির ঘটনাও ঘটছে।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে রায়পুরে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী জানান, চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে রায়পুরে আসতে (৩০ কি.মি.) সিএনজি চালকেরা জনপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। অথচ প্রশাসন এ সড়কে ১০০ টাকা করে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য একাধিকবার নির্দেশনা ও তাদের নিয়ে বৈঠক করে বলা হলেও তারা তা মানছেনা।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জান্নাত মেহবুবা বলেন, ক্যাম্পাস থেকে লঞ্চে চাঁদপুর হয়ে আমার বাসা রায়পুরের উদ্দেশ্য রওনা হই। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস (আনন্দ ও বোগদাদ পরিবহন) না পাওয়ায় সিএনজি যেতে চাইলাম। ৯০- ১০০ টাকার ভাড়া কিন্তু চাইল ১৫০-২০০ টাকা। এরুটে বাস কম থাকার সুযোগ নিচ্ছেন সিএনজির চালকেরা।
চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের সিএনজি চালক মো. টিটু বলেন, ‘আমরা চাঁদপুর থেকে রায়পুর আশার সময় যাত্রী বেশি পেলেও যাওয়ার সময় অল্প যাত্রী নিয়ে ফিরতে হয়। যার কারণেই আমরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে সেই চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট পরবিল আশিক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, যাত্রীদের যেকোনো সাহায্যের জন্য সরাসরি পুলিশের কাছে আসার আহ্বান জানান তিনি।