মোঃ নজরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের চিকিৎসা অবহেলার কারনে উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের ট্রলি চালক নবিছদ্দি মোড়লের স্ত্রী শাহানারা খাতুন(২৭) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এমনই অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখতে ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভুগি পরিবার।
শাহানারার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গত ৮ই সেপ্টেম্বর নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করানো হয়।রোগীকে সিজারিয়ান করান ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফ।অপারেশন শেষ হতেই ডাক্তার বেরিয়ে গেলে নার্সেরা পরিস্কার করে সিলাই দিয়ে রোগী বের করে আনে।অপারেশনের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই রোগীর পেট ফুলতে থাকে।আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা বলেন গ্যাসের সমস্যা।পরে সেখান থেকে আমাদের বের করে দেয়।আমরা যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে সেখান থেকে ফেরত দেয়।পরে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার বলে রোগী বাঁচবে না।তার পরে ডাক্তারের হাত পা ধরে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করলে রোগীর চিকিৎসা করায়।সেখানকার ডাক্তার তার সন্তানের নাড়ি কেটে বাদ দিয়ে দেয়।প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে।রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ যে।অপারেশনের আগে ও পরে সাত ব্যাগ রক্ত তার শরীরে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
রোগীর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন,আমার বোনের এমন অবস্থা দেখে আমি ক্লিনিকের পরিচালক বাবলুর কাছে গিয়ে সব খুলে বললে,আমাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলে।কিন্তু আমার বোন-জামাই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।
এবিষয়ে ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি সিজার করেছি কিনা আমার জানা নেই।আমার খাতা দেখতে হবে,না দেখে বলা সম্ভব হবে না।
পরে ক্লিনিক পরিচালক বাবলুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন,আমি ফোনে এভাবে বক্তব্য দেবো না।
এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।