শার্শায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার মুখেও থেমে নেই অনুমোদনহীন ক্লিনিকের চিকিৎসা রমরমা বানিজ্য
তারিখ ২১।০১।২০২১রোজ বৃহস্পতিবার
মোঃ নজরুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলোর দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইসেন্স,চিকিৎসক,প্রশিক্ষিত নার্স, মান সন্মত চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই বুক চিতিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন এলাকাবাসীর। নবজাতক চুরি,প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগ,ভূল অস্ত্রপাচারে নবজাতকের মৃত্যুর মত গুরতর অভিযোগ থাকলেও সকল নিয়ম-নিতী উপেক্ষা করে অজানা অপশক্তির ইন্ধনে ক্লিনিক ব্যাবসা পরিচলানা করছেন বিতর্কিত ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ই জানুয়ারী) জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া এলাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও নামসর্বস্ব চিকিৎসা সেবা দিয়ে প্রতারণার দ্বায়ে ৩টি ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে ছিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষনা হওয়া ক্লিনিকগুলো হলো জনসেবা ক্লিনিক,বাঁগআচড়া ক্লিনিক ও আলমদীনা ক্লিনিক।
সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানান,স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন বিহিন এ সকল প্রতিষ্ঠানে রোগী ভর্তি রেখে পরীক্ষা-নিরিক্ষা, প্যাথলজি সহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছিলো একটি অসাধু চক্র। অভিযোগের জের ধরেই জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে সোমবার ক্লিনিক গুলোতে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষো করে ক্লিনিক ব্যাবসা পরিচালনার দ্বায়ে সেগুলো ছিলগালা করা হয়েছে। অভিযান কালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী,সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেহনেওয়াজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
মঙ্গলবার(১৯ জানুয়ারী) উপজেলার একই এলাকায় অনিয়মের অভিযোগে নাম বিহীন একটি অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা করেছেন। একি সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিক মালিক ডাঃ আব্দুল মজিদ কে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একটি অবৈধ্য ক্লিনিকে স্বাথ্য সেবায় অনেক অনিয়মের চিত্র ওঠে আসলে কি্লনিক টি ছিলগালা সহ ডাঃ আব্দুল মজিদ কে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন জানান,যশোর জেলার স্বাস্থ্য সেবা খাতে অনিয়ম-অসঙ্গতি রুখে প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে জেলা ব্যাপী স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলমান থাকবে। এত অভিযানের মুখেও উপজেলার নাভারন,গোগা ও বেনাপোল এলাকার ৪/৫টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে চলছে রমরমা চিকিৎসা বানিজ্য। এ সমস্ত নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে রোগীরা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা নিয়ে একদিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছে তেমনী প্রবল আকারে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১