1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
শার্শা উপজেলায় অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তোয়াক্কা করছেনা কোন আইন - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
ad

শার্শা উপজেলায় অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তোয়াক্কা করছেনা কোন আইন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০২ Time View

শার্শা উপজেলায় অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তোয়াক্কা করছেনা কোন আইন

মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা উপজেলায় কৃষকের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটি কেটে নেওয়ায় পাশের জমিতে কয়েক বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

গোগা ইউনিয়নের কালিয়ানি গ্রামের মাঠে দিনে দিনে অবৈধ ট্রলি ট্রাক দিযে বহনের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। উপজেলার পরিবেশের আইন অমান্য করে ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করা হচ্ছে। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর সমান গভীর করা হচ্ছে। ফলে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। অন্যদিকে জমির মাটি আনার নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রলির দানবীয় চাকায় পিষ্ট হচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সদ্য সংষ্কার হওয়া সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জঞ্জাজলিতে যাচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের।

এদিকে ট্রলি মাটি নেওয়ার সময় সড়কগুলোতে মাটি পড়ে সামান্য বৃষ্টিতেও সৃষ্টি হচ্ছে কাঁদা আবার রোদে ধুলাধুলিতে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের যাতায়তে দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। ঘটতে পারে অহরহ দূর্ঘটনা, অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশু কিশোরসহ আবাল বৃদ্ধবনিতা। এ সমস্যার কারন হিসাবে মাটির চাহিদা মিটাতে অবৈধ ট্রলির চলাচলকে দায়ী করছেন সাধারন মানুষ।

সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে এসকল ইটভাটা সহ বিভিন্ন মাটি ভরাটের কাজ। ফলে আশপাশের জমি থেকে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে উর্বর মাটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোগা ইউনিয়ানের কালিয়ানি ৯কোনা মোড় এলাকা কুদ্দুসের জমিতে মাটি কন্টাকটার উজ্জল ও পুটে সর্দ্দার এর নেতৃত্ব আবাদি জমির ওপরের অংশ জমি থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এদিকে একই পাশ থেকে জামতলার মাটি ব্যাবসায়ী কবির নুহের ঘের থেকে ট্রাকে করে মাটি উত্তোলন করছে। এতে জমির বিভিন্ন স্থানে ৭-৮ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও কোমর সমান গর্ত করে মাটি তুলে নেয়া হচ্ছে। মাটি কাটার কাজ দ্রুত করার জন্য বেশ কয়েকটি দানবীয় চাকার বুলডোজার ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। আর এসব মাটি অবৈধ ট্রলিতে বোঝাই করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়া হচ্ছে। এতে অন্য চাষাবাদ জমিসহ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৮/১০ টি ট্রাকে করে মাটি বহন করে ।এই ট্রাকে মাটি বহনে ফলে রাস্থায় চলাচল করতে অনেক বিড়ম্বপনায় পড়তে হচ্ছে।তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপিদের ট্রাক ভাড়া খাটায় নিষেধ করতে কেও সাহস পাচ্ছে না।পিচের রাস্থায় মাটিপড়া পরিস্কার করার জন্য ব্যবস্থা নেই।তাদের মাটি উত্তোলনের মালিকদের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র আছে বলে সন্দেহ।ফিরোজ নামের এক পরিবেশবিদ জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী মজা পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদী জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কেও।‘কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলায় এর উর্বরতা হারিয়ে যায়। তবে ভূমিদস্যুরা যেভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে, তাতে ওই সব এলাকার কৃষক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীন সড়ক ব্যবহার করে কোন ভারী যানবাহন দিয়ে মাটি বা ইটভাটার কাঁচামাল আনা নেয়া নিষিদ্ধ থাকলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করছেন না।কোন মালিক বা মাটি কন্টাকটারা আইন তোয়াক্কা করছেন না।

মাটি ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মাটি নিচ্ছি। রাস্তায় যে মাটি পড়ে তা লেবার দিয়ে ফেলে দেওয়া হবে।বৈধ কাগজপত্র নিয়ে মাটি উত্তোলন করছি ।কাগজ পত্রে যতফুট উল্লেখ থাকে তা ছাড়া ২থেকে ৩ ফুট বেশি কাটি বোঝেনতো ।তিনি মুখে কাগজপত্র কথা বললেও দেখাতে পারে নাই।অনেক জমির মালিকও মাটি বিক্রি করছেন। শুধু আমিই বিক্রি করছি, এটা ঠিক না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকলেও সরকারদলীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। এখন তাঁদের বললে আপনাকে ফোন করবে। সন্ধ্যার পর অনেক বড় নেতার অফিসে গিয়ে আমি আড্ডা দিই।

গোগা ইউনিয়নের রশিদ চেয়ারম্যান এ বিষয়ে জানান,মাটি উত্তোলনের বৈধ কাগজ আছে কি বলতে পারবো না।পিচের রাস্থায় মাটি ট্রাক চলাচল নিষেধ করা হয়েছিল এখন চলছে কি বলতে পারবো না।চলাচল করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকদের মাটি বিক্রি না করার বিষয়ে সচেতন করার পরও তারা কথা শুনছেন না। একবার মাটি কাটা জমিতে আগের মতো উর্বরা শক্তি ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর এভাবে মাটি বিক্রি অব্যাহত থাকলে এক সময় ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। খাদ্য শস্যের ঘাটতি দেখা দিবে কোন এক সময়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল জানান, মাটি উত্তোলনের কোন অভিযোগ পাই নাই।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া
তারিখ ১১/১২/২০২০রোজ শুক্রবার
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি