বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে গভীর রাতে মরা গরু জবাইয়ের প্রস্তুতিকালে কসাই ও তার সহযোগীকে আকট করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থাকা ৩টি চাপাতি সহ চাকু উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দিবাগত রাত্রি ৩টার সময় নিয়মিত ডিউটি চলাকালীন সময়ে পৌরসভার অর্জুনপুর ব্রীজ এলাকায় মৃতগরু ও অটোভ্যানসহ দুইজন কসাই কে আটক করেন।
আটককৃত রাজা ফকির (৫৭)রাঙ্গামাটি গ্রামের ওছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে ও একই গ্রামের মজি ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪০)।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, রাত্রীকালীন নিয়মিত ডিউটির সময় পৌরসভা এলাকার অর্জুনপুর ব্রিজে অটোভ্যানের উপর গরুসহ দুজনকে দেখে সন্দেহ হয়। এরপর তাদের কাছের গিয়ে দেখেন অটোভ্যানের রাখা গরুটি জিহ্বা বের করে মুখে দাঁত কামড়ে ধরে রাখা অবস্থায় পড়ে আছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক প্রর্যায়ে স্বীকার করে যে মৃত গরু জবাই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তারা। তিনি আরো বলেন আমি এই থানায় দায়িত্বে থাকাকালীন এরকম অপরাধ করতে দিবোনা। গোস্ত আমরা সবাই খাই এধরনের অপরাধ করে কেউই পার পাবেনা। উপজেলার কসাইরা কোন গরু জবাই করলে দিব্যলোক প্রকাশ্যে জবাই করতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা লাইফ স্টোক অফিসার বলেন এঘটনায় অপরাধীর সাজা ১বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা এর দ্বিগুণ হতে পারে।
অথচ সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ছাড়াই ১৫ দিনে সাজা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার।
এ সাজাকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকাবাসী খোব প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক পৌর এলাকার এক ব্যক্তি বলেন,এ রকম অপরাধ করে যদি ১৫দিন সাজা হয় তাহলে দিন দিন অপরাধ বেড়েই চলবে। আমরা মুসলিম জাতীর জন্য খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। মরা গরুর গোস্ত আমাদের খেতে হচ্ছে। এ ঘটনা একদিনে হয়নি আজকে আমরা তাকে হাতে নাতে ধরেছি বলেই আজকে জানতে পেরেছি। আর আমরা এতদিন অসুস্থ মরা গরুর গোস্ত খেয়ে এসেছি বলেই বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ে আমাদের মাঝে। এই রকম নেক্কারজনক ঘটনা যেন আর কেউ না করতে পারে সে জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার বলেন, অপরাধীকে ১৫দিনের সাজা প্রদান করা হয়েছে। এবং তার কাছে লাইসেন্স খতিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায় লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তির্ন।