বগুড়ার শিবগঞ্জে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শ্বশুড় কর্তৃক গৃহবধূকে রশিদিয়ে হ*ত্যার চেষ্টা, থানায় মামলা, শ্বশুড় গ্রেফতার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার কিচক ইউনিয়নের সাতিয়ানপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, সাতিয়ান পাড়া গ্রামের আতিকুর রহমান আকন্দ এর মেয়ে নুরুন্নাহার কে একই গ্রামের আমছের আলীর ছেলে রায়হান আলীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আতিকুর রহমান আকন্দসহ তার পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবূধকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে থাকে। গত ২৩ অক্টোবর বিকালে আতিকুর রহমান ও তার পিতাসহ তার পরিবারের লোকজন পুনরায় ওই গৃহবধূকে তার পিতার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু ওই গৃহবধূ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ওই গৃবধূকে বেধরক ভাবে মারপিট করে আহত করে। একপর্যায়ে শ্বশুড় আমছের আলী রশি দ্বারা তার পুত্রবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূর বাবা থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে আটক করে।
এব্যাপারে আতিকুর রহমান আকন্দ বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার জামাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যেই মারপিট করে। আমার বিয়াই গত ২৩ অক্টোবর আমার মেয়েকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমার মেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ওই গৃবধূর শ্বশুড় কে আটক করা হয়েছে।