আশরাফুল ইসলাম সবুজ
জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদী:
শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে জামাই হাসান মিয়া (৩০) ও তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোবারক (১৬) নামের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সজিব মিয়া (২০) আহত হয়েছেন। তাকে ভাগরপুর জহুরুর ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মনতলা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত হাসান মিয়া একই ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের আবুল হাসিমের ছেলে। আর মোবারক চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের মিন্টু মিয়ার ছেলে। হাসান মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী, মোবারক ইজিবাইকচালক। হাসানের ছয় বছরের এক ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে হাসান মিয়া খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের লাল মিয়ার বাড়িতে কাজে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসান নির্মাণাধীন বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ছাদের শাটারিং খোলতে ট্যাংকের ভেতরে নামেন। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। হাসানের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য প্রতিবেশী ইজিবাইকচালক মোবারকও ভেতরে নামেন। তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন।
এরইমধ্যে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশের লোকজন চিৎকার করলে গ্রামের মানুষ জড়ো হয়। পরে ট্যাংকের ছাদ ভেঙে রশি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে উদ্ধার করে উপরে আনে গ্রামবাসী। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে উদ্ধার কার্যক্রমের সময় চরমান্দালিয়া গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে সজিব গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মনোহরদী থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।