আসিফ জাহান
বিশেষ প্রতিনিধি কুলাউড়া
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দখল হয়ে যাওয়া রেলের জমি পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনাকালে একটি এক্সকেভেটরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার(১৬সেপ্টেম্বর)সকাল ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক্সকেভেটরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান কারা এ আগুন লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।তদন্তের পর ক্ষয় ক্ষতি জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ভানুগাছ সড়কের উত্তরপাশের রেলের ২৮৭ শতক জমির উপর থেকে বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল রেল বিভাগের।সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেখানে একটি এক্সকেভেটর আনা হয়। এক্সকেভেটরটি রেলগেট পয়েন্টে আসামাত্র কয়েকজন দুর্বৃত্ত এক্সকেভেটরের কেবিনে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।আগুনে যন্ত্রটির চালকের কেবিন ও নিচের অংশ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের সহকারী এস্টেট অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন আজ ওই এলাকার রেলের প্রায় ২৮৭ শতক জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। অভিযানের কাজের জন্য এক্সকেভেটর যন্ত্রটি সেখানে নেওয়া হয়েছিল।
শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের জানান রেলের মোট জায়গা এখানে আছে ২৮৭ একর। তার মধ্যে ১৪৭ একর জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে। আগামী মঙ্গলবার এই স্থিতাবস্থার কাগজপত্র নিয়ে মামলার বাদীকে আসতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক নয়ন কারকুন জানান আগুন দেওয়ার ঘটনায় সুলেমান মিয়া(৩০) নামের সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ৩৮ বছর পর গত ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রেলের শতকোটি টাকার এই ভূমি উদ্ধারে অভিযান চালায় রেলওয়ে বিভাগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শতাধিক সদস্যের সহায়তায় ২টি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শহরের প্রভাবশালীদের দখলে থাকা ভানুগাছ সড়কের মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারি প্রকল্প অভিজাত রেস্টুরেন্ট গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম ফার্নিচারের শো-রুম সেলুন চা পাতার দোকান বাসা-বাড়ি ভ্যারাইটিজ স্টোর ফার্মেসি হার্ডওয়্যারের দোকান ওয়ার্কশপ ট্রান্সপোর্ট অফিসসহ শতাধিক পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর রেল বিভাগের দেখভালের অভাবে এই জমিগুলো আবারও দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।
Leave a Reply