মোঃ মিজানুর রহমান
ঢাকা
সাংবাদিকের সংবাদ লেখার তথ্যের উৎস কী, সেটি জানতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে না বলে রায়ে মতামত দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাংবাদিকের কোনো সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আদালতের আগে প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হবার কথাও বলেছেন আদালত।
সাংবাদিকদের তথ্যের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে বলে মত দিয়ে আদালত বলেন, এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংবাদিকদের তথ্যের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে।
গত বছরের ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে সস্ত্রীক এক প্রকৌশলীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জারি করা রুলের রায়ে এমন কথা বলেছেন হাইকোর্ট।
গত ২১ জুন জারি করা এক রুলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন মতামত দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। গত জুন মাসে দেওয়া রায়ের ৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে আজ (রোববার)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিষয়ে রায়ে আদালত বলছেন, সাংবাদিকরা সব স্থানে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সরকারি, আধা সরকারি অফিসে যেতে পারবেন। আর তথ্যের উৎস জানার বিষয়ে সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
সাংবাদিকরা সংবাদের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নয়। সংবিধান ও আইন তাদের সে সুযোগ দিয়েছে বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে দেওয়া আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অংশ। আদালত বলেন, আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার আছে সবারই। রায়ে আদালত আরও বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।