মির্জা সাইদুল ইসলাম সাঈদ
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ সক্রিয় রয়েছে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা। সখিপুর বাজার, হাসপাতাল, বিভিন্ন মার্কেট, কিংবা ব্যাংক সংলগ্ন এলাকা থেকে সুযোগ পেলেই বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি। এদের পাকড়াও করতে সখিপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সদ্য চুরি হওয়া একটি এ্যপাসি (আরটিআর) মোটরসাইকেল উদ্ধারের মাঠে নামে পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেশুক্রবার(২৬নভেম্বর) চোর চক্রের ২ সদস্য-সাব্বির (২৪) ও সুজন (২৩)কে সখিপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ তাদের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার লাংগুলিয়া বংশী বাড়িচালা থেকে ১টি লাল রঙের এ্যপাসি মোটরসাই উদ্ধার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আজ (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সখিপুর থানা পুলিশ। আটককৃত সাব্বির পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ময়নাল হোসেন ওরফে ময়না'র ছেলে। সুজন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের শুকুর মাহমুদের ছেলে।
জানা যায় গত ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ডাকাতিয়া গ্রামের শরীফুল ইসলাম সখীপুর বাজারে এক দোকানের সামনে তার আরটিআর মোটরসাইকেলটি রেখে কেনাকাটা করতে যায়। কিছুক্ষণ পর এসে দেখে মোটরসাইকেলটি নেই। পরের দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে তিনি থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে আসামিদের সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক মো.মনিরুজ্জামান মনির বলেন- এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃতদের রিমান্ডের আবেদন করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সখিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে, তিনি সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে সাইদুল হক ভূঁইয়ার বরাত দিয়ে বলেন, এই ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনতে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। তিনি সমাজের নেতৃত্বাধীন জনপ্রতিনিধি,সচেতন মহল, ও সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। তাতে করে মাদক সহ সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করি।