মির্জা সাইদুল ইসলাম সাঈদ
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ২টি ট্রাকসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। শনিবার(২অক্টোবর) রাতে সখিপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান ঢাকার ধামরাই ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য, পাবনার সাথিয়া এলাকার শামছুর রহমানের ছেলে বাহাদুর মিয়া (৪০), ধামরাই এলাকার মৃত ফরিদ সরকারের ছেলে রতন সরকার (৪২) ও একই এলাকার কায়েম উদ্দিনের ছেলে নূর হোসেন নূরু (৩৩)।
উল্লেখ্য:-সখিপুর থানা সূত্রে জানা যায়, সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা বাজারের উত্তরে আমের চারা এলাকায় গত ১অক্টোবর শুক্রবার রাতে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত মাহিন্দ্র (মিনিট্রাক) দিয়ে সড়ক অবরোধ করে একটি ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ২অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় ছিনতাই হওয়া ট্রাকের মালিক হযরত আলী অজ্ঞাতনামা আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। সখিপুর থানার মামলা নং-০২ তারিখ ০২-১০-২০২১ খ্রিঃ ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। হয় এবং উক্ত আসামীর নিকট হতে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাবহার করা মাহিন্দ্রা (মিনি ট্রাক) ও লুন্ঠিত ট্রাক উদ্ধার করা হইয়াছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ০৩/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে। সখিপুর থানা পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে উক্ত ক্লুলেস ডাকাতি মামলাটির মূল রহস্য ৭২ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যহত আছে।
সখিপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঢাকার ধামরাই ও আশুলিয়া এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ট্রাক, ডাকাতদের ব্যবহৃত মাহিন্দ্রসহ তিন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার শ্রদ্ধেয় জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম এর নির্দেশনায়,সহকারি পুলিশ সুপার সখিপুর সার্কেল আব্দুল মতিন এর তত্তাবধানে, সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.সাইদুল হক ভূঁইয়া এর সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতায় এসআই মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে সখিপুর থানার অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের সহযোগীতায় ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয় এবং রবিবার ৩অক্টোবর দুপুরে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।