স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে জহিরুল ইসলাম গোলাপ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে রড ও লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এলাকার চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কালিয়ান বাজারে প্রথমে হামলা চালায়। পরবর্তীতে বাড়ি ফেরার পথে কালিয়ান বাজারের উত্তর পাশে হাফিজের মুদির দোকানের পাশে উৎপেতে থাকা ওই দূর্বৃত্তরাই দ্বিতীয় দফায় গোলাপের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে ফেলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, আহত জহিরুল ইসলাম গোলাপের উপর তারা অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে এবং তার একটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বাজার থেকে ফেরার পথে বাজারের উত্তর পাশে হাফিজের মুদির দোকানের কাছে দ্বিতীয় দফায় আবার এলোপাতাড়ি মারধর করে। এলাকার লোকজন তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারকে খবর পাঠায়, পরিবারের লোকজন আহত গোলাপকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতের ডান চোখের পাশে সেলাই সহ শরীরে অসংখ্য নীলা ফুলা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। আহতের চিকিৎসার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানা যায়।
আহত গোলাপের বাবা শামসুল আলম বাদী হয়ে ১৮ জনুয়ারি সখিপুর থানায় ফেরদৌস, নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু, মোজাম্মেল ওরফে মুজা ও রিপন নামের
৪ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত জহিরুল ইসলাম গোলাপ বলেন, কালিয়ান বাজারে থাকাকালীন হঠাৎ করে চার পাঁচজন লোক এসে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং আমাকে রড ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন আসলে পরিবেশ স্বাভাবিক হয় এবং পরবর্তীতে আমি বাড়ি ফেরার পথে বাজারের উত্তর পাশে আমাকে দ্বিতীয় দফায় বেধড়ক মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ঘটনার সূত্রপাত আমার জানা নেই, তবে যাই ঘটুক মারামারির বিষয়টি নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আহত গোলাপকে দেখতে বেশ কয়েকবার আমি হাসপাতালে গিয়েছি এবং আহতের অবস্থা দেখে মর্মাহত হয়েছি। প্রকৃত দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজিম উদ্দিন এবিষয়ে বলেন অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।