টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা প্রশাসন লকডাউনের ৫ম দিনেও মাঠে তৎপর ছিলো।
দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত ৭ দিনের প্রথম দফার কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সখিপুর উপজেলা প্রশাসন সর্বক্ষণ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল।
আজ সোমবার (০৫ জুলাই) সারাদেশের ন্যায় দিনব্যাপী চলে পুলিশ ও বিজিবির টহল। চলে মোবাইল কোর্ট। সখিপুর উপজেলার গ্যাস চৌরাস্তা ও বেড়বাড়ি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সখিপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
আদালতসূত্রে জানা যায় ভ্রাম্যমান আদালতের মোট ৪ টি মামলায় এক হাজার ছয়শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া দুইজনকে আটকও করা হয়। আটককৃতরা হলো সখিপুর পৌরসভার এতিম খানা রোডের বাসিন্দা সানোয়ার হোসেন ও বিল্লাল।
সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার সখিপুর উপজেলায় নতুন করে আরও ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা অন্নান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভাবে বাড়তে থাকলে সামনের দিন গুলোতে সখিপুরের অবস্থা হতে পারে ভয়াবহ। সে লক্ষ্যে এই সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে সরকার লকডাউন আরো ৭দিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
অপরদিকে দিন রোজীর বিভিন্ন শ্রমপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, চলমান লকডাউন আরও বর্ধিত হলে হয়তো অনাহারে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ দৈনন্দিন কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। লক ডাউনের কারনে এখন কাজ নেই, আমাদের রোজী রোজগার একেবারে বন্ধ,আরও ৭দিন বাড়ালো সরকার। এখন দুই চোখে শুধু অন্ধকার দেখি।
আফসোস করেই একজন করাতকল শ্রমিক বলেন কেবল আল্লাহই জানেন আমাদের কপালে কি আছে।