মির্জা সাইদুল ইসলাম (সাঈদ)
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বানী।
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বন বিভাগের জমি সংলগ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় হাজার খানেকপর বেশি লাইসেন্স বিহীন করাতকল। মঙ্গলবার টাঙ্গাইল বনবিভাগের বাঁশতৈল রেঞ্জ এর বংশিনগর বিটের আওতাধীন তক্তারচালা পাটজাগ এলাকায় একটি অবৈধ করাতকলে বাঁশতৈল রেঞ্জের, রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে চলেছে উচ্ছেদ অভিজান। উচ্ছেদকৃত করাতকলটির মালিক তক্তারচালা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সানোয়ার হোসেন।
বাঁশতৈল রেঞ্জ অফিসার আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন ,বাঁশতৈল সদর বিট,বংশিনগর বিট,
নলুয়া ও পাথরঘাটা বিট অফিসার সহ বনপ্রহরী ও বন বিভাগের শ্রমিকরা। উল্লেখ্য,সখিপুর,মির্জাপুর,মধুপুর,ঘাটাইল উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতর বন আইনের তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছ সহস্রাধিক অবৈধ করাতকল। যার ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষ অবাধে নিধন করে অবৈধ করাতকলে চিড়াই করণ পর্বক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করা হচ্ছে। সঙ্গতকারনে বৈশ্বিক জলবায়ূ পরিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। এ সব এলাকায় জন মানবের বসতি হয়ে উঠছে অনুপযোগী। পরিবেশ বীদদের মতে এভাবে চলতে থাকলে অক্সিজেনের অভাবে শিশু সহ সব বয়সের মানুষই শুধু নয় পশুপাখি জীবনও মারত্বক হুমকির সম্মুখীন হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
জনসাধারণের মুক্ত কথাঃ- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এমন অভিজান দু-চার মাস পরপরই তো দেখি। আবার পাঁচ দশ দিন যেতে না যেতেই দেখি মিলের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়ে গেছে। এর ভেতরে নিশ্চয়ই কোন রহস্য লুকিয়ে আছে যা হয়তো আমরা জানিনা। কেউ কেউ মন্তব্য করেন একবার এসে ঢোল পিটিয়ে খুলে নিয়ে যায়, আবার ক’দিন পর দেখি আগের মতোই চলছে!
Leave a Reply