স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বাণী:
বর্তমান বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পেপার পত্রিকা মেললেই চোখে পরে স্বজন হারা মানুষের আহাজারি।তন্মধ্যে আরও যোগ হয়েছে উঠতি বয়সী তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো। এ যেন এখন হাজারো ব্যধির মধ্যে এক অন্যতম ব্যধি হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এই ব্যধি যেন কোনো ভাবেই প্রতিরোধ হবার নয়। প্রতিদিনই কোননা কোনো দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
গত কয়েক মাসে যে ক'জন তরুণের অকাল মৃত্যু হয়েছে তাদের সকলের বয়সি ১৬/২৪ এর মধ্যে। এরা সবাই বিভিন্ন মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এদের বেশিরভাগ তরুণের বাবা প্রবাসী কিংবা চাকরির সুবাদে দূরবর্তী কোথাও থাকার ফলে পারিবারিক শাসনের কোনো তোয়াক্কাই করছেনা এসব উঠতি বয়সী তরুণরা।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাঈম হাসান (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের ঘোনারচালা এলাকায়। নিহত নাঈম কচুয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বিশা মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সকালে নাঈম মোটরসাইকেল যোগে কচুয়া বাজারে আসার পথে কচুয়া আড়াইপাড়া সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হয়। এসময় পথচারীরা গুরুতর আহত নাঈমকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার সময় মাঝ পথেই তার মৃত্যু হয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এ,কে, সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এই বিষয়ে থানাকে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে উঠতি বয়সী তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই এর একটা সুফল পাওয়া যাবে। আর এসব বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে শুধু পুলিশ নির্ভর হলে চলবে না, সকলকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।